
ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সয়াবিন তেল নিয়ে নানামুখী কারসাজির সহ তেলেসমাতি কারবারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রমজানের আগে থেকে আজ রবিবার(১৬ মার্চ) বেশি মুনাফার আশায় বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। এদিকে ডিলারদের বিরুদ্ধে মরিচের গুড়া, চাল-ডাল,আটা-ময়দা ছাড়া শুধু বোতলজাত সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে বিক্রি না করার অভিযোগ রয়েছে।
আবার কোথাও কোথাও তেলের বোতলের গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে তেল।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চকবাজারে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ খুচরা দোকানে সয়াবিন তেলের সংকট। বিশেষ করে ৫ লিটার ও ৮ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজার থেকে নাই হয়ে গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, রমজানের শুরু থেকে সয়াবিন তেল নিয়ে বাজারে নানামুখী কারসাজি শুরু হয়েছে। অনেক ক্রেতা তেল কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন। ডিলাররা বাজারে তেল ছাড়ছে না।
তাই খুচরা বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে বলতে পারছি না।
উপজেলার প্রতাবগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। বেশির ভাগ মুদি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
তবে অনেকেই খোলা তেল বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারের তেল কিনতে আসা মাদ্রাসা শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, রমজানের অন্তত ৩ মাস আগে বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট।
কয়েক দিন ধরে ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে নেই। আমি নিজে কয়েকটি দোকান ঘুরে তেল পায়নি। পরে বাজার থেকে খোলা তেল নিয়েছি তাও ১৯০ টাকা কেজি ধরে।
বিষয়টি যাচাই করতে রাতে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। এই বাজারের ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া বলেন, ডিলাররা আমাদের ৫ লিটারের বোতল দেন না। ২ লিটার ও এক লিটারের বোতল এনেছি। তবে এগুলোর সঙ্গে বাড়তি কিনতে হয়েছে মরিচের গুড়া, চাল-ডাল, আটা-ময়দা। কী করব আমাদের বাধ্য করা হয় কিনতে। এখন তেলের চাহিদার জন্য বাধ্য হয়ে এসব কিনতে হয়। ডিলাররা শুধু বোতলজাত তেল বিক্রি করেন না।
বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. হাসান বলেন, আমি নিজে গিয়ে দেখেছি ডিলারের গুদামে কোম্পানি থেকে তেলের গাড়ি এসে তেল দিয়ে গেছে। কিন্তু ডিলার আমাদের কাছে তেল বিক্রি করছে না। কারণ জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোনো উত্তর দেন না। বাজারের একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে,বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদ, সবার কথা ভেবে আমি কালই বাজার মনিটরিং করে ব্যবস্থা নিবো।
শিলা ইসলাম