
ছবি: সংগৃহীত
একেকটি ১০ টাকার নতুন বান্ডেলের জন্য গুনতে হচ্ছে দেড় হাজার টাকা, মানে ৫০০ টাকা বেশি। আর দুই টাকার ১০০ নোটের দাম ৩০০ টাকার উপরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট সরবরাহ বন্ধের ঘোষণায় এরকম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারের নতুন নোট। যার ফলে কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা।
পথের ধারে কড়কড়ে নোটের এই বাণিজ্য বহন করে চলছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। রাজধানীর গুলিস্থানে সারা বছরই এই ব্যবসায় জমজমাট থাকলেও উৎসবের আগে পায় নতুন মাত্রা, বিশেষ করে ঈদুল ফিতরে। সালামি, প্রিয়জনকে উপহার কিংবা দান খয়রাতেও নতুন টাকার ব্যবহার বাড়িয়ে দেয় ঈদের আনন্দ। কিন্তু এবারের সেই আনন্দে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বয়ং নিয়ন্ত্রক সংস্থা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিওয়ালা ফ্রেশ নোট বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। ফলে বিকল্প উপায় সংগ্রহ করতে খোলাবাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেখানে ব্যয় বেড়েছে অন্তত দ্বিগুণ।
একজন বলেন, "দুই দিন যাবত কয়েকটা প্রাইভেট ব্যাংকে গিয়েছি, কোথাও নতুন টাকা নেই। এখন এখানে আসছি, এখানে যেটা দেখলাম ২০০ টাকার বান্ডেল একটা বান্ডেলে বিশ হাজার নিতে গেলে আপনাকে ৪০০ টাকা দিতে হচ্ছে।"
আরেকজন বলেন, "ঈদের সময় নতুন টাকা হলে ভালো হয়। একটা ঈদের আনন্দটা বেড়ে যায়। তো ট্রাই করবো এখন বেশি দামে কেনার জন্য, তাছাড়া আর কোন ওয়ে দেখতেছি না।"
খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে টান পড়তে শুরু করেছে সরবরাহে। ফলে দুই টাকার ১০০ নোটের একটি বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।এছাড়া পাঁচ টাকার বান্ডেল ৬৫০ ও ১০ টাকার বান্ডেলের জন্য গুনতে হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার চকচকে নোটের।
আবীর