ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশের ঋণমান আরও একধাপ নিচে নামালো মুডিস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৩ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০৬:২১, ১৩ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের ঋণমান আরও একধাপ নিচে নামালো মুডিস

ছবি:সংগৃহীত

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক রেটিং দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস। 

 

 

আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান ‘বি-ওয়ান’ থেকে কমিয়ে ‘বি-টু’-তে নামিয়েছে। এর ফলে পূর্বাভাসের অবনতি ঘটেছে। যা এখন স্ফীতিশীলতা থেকে নেতিবাচক অবস্থার দিকে গেছে।

 

 

প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হয়ে যাওয়ায় এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এদিকে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, তৈরি পোশাকশিল্পের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দ হওয়ার অন্যতম কারণ।

 

 

মুডিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী জুনে শেষ হওয়া চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে, যা আগের বছরের ৫ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কম।

অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ মাসের ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। তারপরও এখনো মূল্যস্ফীতি উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এটি প্রায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশে থাকার আশঙ্কা করছে মুডিস।

 

 

মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সম্পদের ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ, খেলাপি ঋণের হার বেড়ে চলেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ১৭ শতাংশে পৌঁছায়, যা কি না তার ৯ মাস আগে ছিল ৯ শতাংশ।

 

 

খেলাপি ঋণ কমাতে ২০২৫ সালের এপ্রিলে কঠোর নিয়ম আসছে। তারল্য সংকট এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সহায়তা দেবে বলে জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, অনাদায়ি ঋণের পরিমাণ বাড়ায় দেশের ব্যাংকিং খাতে বাড়তে থাকা সম্পদ ঝুঁকির মুখে পড়বে।

 

 

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন পরিস্থিতি নেতিবাচক (-২.৫ শতাংশ), যা বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় অনেক নিচে। সরকার নতুন করে টাকা না দিলে এসব ব্যাংকের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

আঁখি

×