ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

বছরে ৩-৪ লাখ টাকা খরচে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বিক্রির সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ১২ মার্চ ২০২৫

বছরে ৩-৪ লাখ টাকা খরচে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বিক্রির সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দৃষ্টিনন্দন বরই বাগান করে এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রবাস ফেরত নয়ন খাদেম। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে গড়া এ বাগানে রয়েছে নানা জাতের উচ্চফলনশীল বরই গাছ। বাগান দেখতে আসা লোকজনের মুখে কথা একটাই, নয়নের সুন্দর ফল বাগান দেখে নয়ন জুড়িয়ে যায়।

নয়ন খাদেম আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রায় ১৬ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। ২০২০ সালে সারা বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে প্রবাসে তার কোম্পানির উৎপাদন কমে যাওয়ায় তারও উপার্জনও কমে আসে। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝি দেশে ফিরে আসেন তিনি।

দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থাও তখন ভালো ছিল না। কী করবেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। এভাবে কিছু দিন কেটে যায়। তারপর সিদ্ধান্ত নিলেন ফলের বাগান করবেন। গাছ-গাছালির প্রতি ভালোবাসা ছিলো ছোটবেলা থেকেই। সেই ভালোবাসা আর নিজের আত্মবিশ্বাসের জোরে প্রায় চার বছর আগে ছয়ঘড়িয়া গ্রামে সাড়ে ৬ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে শুরু করেন মিশ্র ফলের বাগান।

নয়ন খাদেম বলেন, ‘সৎভাবে উপার্জন করার চিন্তা থেকেই ফলের বাগান করার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু বাগানের জন্য যে পরিমাণ জায়গার দরকার তা পাচ্ছিলাম না। অবশেষে ছয়ঘড়িয়া গ্রামের লোকজন আমাকে জায়গাটি ব্যবস্থা করে দেয়। জায়গাটিও আমার খুব পছন্দ হয়।’

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ করেছেন। এখনও পুঁজি বিনিয়োগ করছেন। এ বছর ফল বিক্রি করলে আয়-ব্যয়ের হিসাব করতে পারবেন। তবে এ বছর ৩-৪ লাখ খরচ করে আনুমানিক ১৪ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।

ছয়ঘড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউল হক ভূইয়া বলেন, ‘কৃষি আমাদের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। অনেকে বিদেশ থেকে এসে কৃষি কাজ করতে লজ্জাবোধ করে। পরিশ্রমের কাজ করতে আগ্রহী হয় না। কিন্তু নয়ন খাদেম যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এটি সত্যি প্রশংসনীয়।’

উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, তিনিও চান দেশে নয়নের মতো নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হোক।

 

সূত্র: https://tinyurl.com/ye2aw758

রাকিব

×