ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

পুঁজিবাজারে ৯ বছরে নারীদের বিও হিসাব কমেছে সাড়ে ৪ লাখ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:১৭, ৯ মার্চ ২০২৫

পুঁজিবাজারে ৯ বছরে নারীদের বিও হিসাব কমেছে সাড়ে ৪ লাখ

পুঁজিবাজারে ৯ বছরে নারীদের বিও হিসাব কমেছে

জনগণকে বিনিয়োগ শিক্ষা দিতে কাজ করছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট এবং উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং নানামুখী বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে, পুঁজিবাজারে পুরুষের পাশাপাশি নারী বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ততা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। গত ৯ বছরের হিসাব অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪ লাখ ৬১ হাজার।
পুঁজিবাজারের তথ্যভা-ার হিসেবে পরিচিত সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও নিজেদের আয় বাড়াতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে অনেক নারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। এক্ষেত্রে সে দেশের নারীরা মিউচুয়াল ফান্ডকে বিনিয়োগের আদর্শ ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

করোনার মধ্যেও ভারতের নারী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ যেভাবে বেড়েছে, উল্টো চিত্র দেখা গেছে দেশের পুঁজিবাজারে। এখানে নারী বিনিয়োগকারীরা বেশ পিছিয়ে আছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক মন্দা পরিস্থিতি নারীদের এ খাতে বিনিয়োগে ভীত করে তুলছে। দেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় না থাকায় নারীরা তাদের সঞ্চয় এখানে বিনিয়োগ করার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। এছাড়া, বিনিয়োগ শিক্ষার বিষয়ে তুলনামূলক প্রচার কম থাকায় পুঁজিবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে না।

পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডাররাও এ বিষয়ের ওপর খুব বেশি গুরুত্ব দেন না। তাই, এ সেক্টরে নারীদের অনীহা বেড়েই চলেছে। নারীদের সঞ্চয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে আনতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই), মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউসসহ সব স্টেকহোল্ডারদের এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি বছরজুড়ে নারীদের বিনিয়োগের বিষয়ে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নারীরা যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ঝুঁকিমুক্তভাবে বিনিয়োগ করতে পারবেন, সে বিষয়টি প্রচার করতে হবে। সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, এ ধারণা নারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে নারী বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন।
সিডিবিএলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে নারী নিয়োগকারীর সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছিল।

×