ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ৬ মার্চ ২০২৫

দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে

দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে

দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। গত মাসে ৩৯৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। যদিও চলতি অর্থবছরের সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে। পণ্য রপ্তানির এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ কোটি ডলারের পণ্য।

গত অর্থবছরের একই সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৮০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। শুধু ফেব্রুয়ারিতে ৩২৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। কেবল ফেব্রুয়ারিতেই রপ্তানি আয় প্রায় ২.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৯৭ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩.৮৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায় ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই আট মাসে বাংলাদেশ ৩২.৯৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছ।  ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রয়ারি পর্যন্ত প্রথম আট মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ে বরাবরের মতোই ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছ ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১২.৪৪ শতাংশ বেশি।

×