ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

খাদ্যে ৯.২৪ শতাংশ

ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯.৩২ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ৬ মার্চ ২০২৫

ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯.৩২ শতাংশ

ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.২৪ শতাংশ হারে

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.২৪ শতাংশ হারে, আগের মাসে যা ছিল ১০.৭২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯.৩২ শতাংশ, খাদ্যে ৯.২৪ শতাংশ। বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির নি¤œœমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে, গেল ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯.৩২ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ৯.৯৪ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে তা জানানো হয়েছে। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৬৭ শতাংশ। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.২৪ শতাংশ হারে, আগের মাসে যা ছিল ১০.৭২ শতাংশ। অর্থাৎ, এখানেও কমেছে শতাংশীয় পয়েন্টে। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমার ফলে তা সার্বিক মূল্যস্ফীতি হ্রাসেও ভূমিকা রেখেছে।

ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৩৮ শতাংশ হারে, যা জানুয়ারির ৩.৩২ শতাংশের চেয়ে সামান্য বাড়ে। এর আগে ডিসেম্বরে ১২.৯২ এবং নভেম্বরে ১৩.৮ শতাংশ হারে হয়েছিল সার্বিক মূল্যস্ফীতি। এ নিয়ে গত চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার এক অঙ্কের ঘরে ফিরল সার্বিক মূল্যস্ফীতি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কম বা ৯.৯২ শতাংশ হয়েছিল, এরপর থেকে তা বাড়তে থাকে।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও কতদিন লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আপাতত আমাদের মূল্যস্ফীতির দিকে মূল মনোযোগ আছে। এজন্য আরও দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। মূল্যস্ফীতির উচ্চহার জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে এ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এটি সমাধানের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

×