ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

আমান উল্লাহ আমানের আপিলের রায় ৩০ এপ্রিল

অর্থপাচার মামলায় মামুনের আপিলের রায় আগামীকাল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ৪ মার্চ ২০২৫

অর্থপাচার মামলায় মামুনের আপিলের রায় আগামীকাল

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিলের রায় ৬ মার্চ

অর্থ পাচার মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিলের রায় ৬ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। অন্যদিকে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ১৩ বছরের দ-িত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের খালাস চেয়ে করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ। এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার আপিল বিভাগ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। 
অর্থ পাচার অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় আগামী ৬ মার্চ। বিষয়টি নিয়ে আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ রায়ের দিন ধার্য করেন। আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। এই মামলায় ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।  বিচার শেষে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার এই মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

এ ছাড়া কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। আর পাচারের অভিযোগে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আপিল করে দুদক। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন।

এই দুই আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতে খালাস পাওয়া তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল করেন।
আমানের আপিলের রায় ৩০ এপ্রিল ॥ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ১৩ বছরের দ-িত  বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের খালাস চেয়ে করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ। এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন। ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদ- দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন। ২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুদকের মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদ- বহাল রেখে আদেশ দেন এবং তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১ আবুল কাশেম।
এরপর তিনি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। একইসঙ্গে জামিন আবেদনও করেন। তবে আপিল বিভাগ তাকে জামিন না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি করতে বলেন। সে অনুসারে শুনানি শেষে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয়। ২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদ- দেওয়া হয়।

ওই বছরের ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনরায় শুনানি শেষে তাদের দ- বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের  হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। ২০২২ সালের ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়। এরপর রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত থেকে জামিন পান।

×