ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১

রেমিটেন্সের ডলার সংগ্রহে এগিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রেমিটেন্সের ডলার সংগ্রহে এগিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো

রেমিটেন্সের ডলার সংগ্রহ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো

কন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা  গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনেই ৬৮৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে প্রাপ্ত ৬৫৯ মিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা না পাওয়ায় তেল ও গ্যাসসহ বিভিন্ন সরকারি আমদানির বিল মেটাতে (এলসি) বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় বেশি দাম দিয়ে  রেমিটেন্সের ডলার সংগ্রহ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। ফলে এসব ব্যাংক রেমিটেন্স আয়ে অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে  দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংক- সোনালি, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনেই ৬৮৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে প্রাপ্ত ৬৫৯ মিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। তথ্য অনুসারে, ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ব্যাংকিং খাতে ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে; এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলো পেয়েছে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো কীভাবে এত রেমিটেন্স পাচ্ছে জানতে চাইলে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জানান, এখন রেমিটেন্সের বাজার দর সংবেদনশীল। যে ব্যাংক দামবেশি দেবে, সে ব্যাংকই রেমিটেন্সের ডলার পাবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এখন রেমিটেন্সের ডলার সংগ্রহে ১২২.৭০ টাকা পর্যন্ত রেট দিচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ব্যাংকই ১২২ টাকার  বেশি রেট দিতে পারে না। তাই, বেসরকারি ব্যাংকগুলো  রেমিটেন্স তুলনামূলক কম পাচ্ছে।
একটি  বেসরকারি ব্যাংকের  ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘রেমিটেন্সের ডলারের দাম নিয়ে এ ধরনের বিভেদ আগেও ছিল, তবে এখন উদ্দেশ্যে বদল ঘটেছে। আগে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক ইচ্ছামতো দাম দিয়ে রেমিটেন্স সংগ্রহ করত। এর একটা বড় অংশই বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিচ্ছে। তবে এসব ডলার রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।’

রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো আগে  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ  থেকে ডলার সাপোর্ট  পেত। তবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করার কারণে সেটি ক্রমাগত কমে যাচ্ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ মেন্টেন করতে ডলার বিক্রি বন্ধ করেছে।’

×