
ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন, অতীতে এনার্জি সেক্টরে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। একদম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকাতি করা হতো, সেটাই বন্ধ করা হয়েছে। আগের সেই লুটপাটের ব্যবস্থা স্ক্র্যাপ করা হয়েছে।
তিনি জানান, এখন থেকে "নো ইলেকট্রিসিটি, নো পে" নীতিতে পরিচালিত হবে বিদ্যুৎ খাত। সরকার এমন বিনিয়োগ আনতে চায়, যা বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দেশের এনার্জি সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, প্রফেসর ইউনুস বেশ কয়েকবার এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং এটি নিয়ে বিদেশি দাতা সংস্থা ও শক্তি খাতের বৃহৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নেপাল ও ভুটানের হাইড্রো ইলেকট্রিসিটির সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে। এতে খরচ কমবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।
গ্যাস সংকট সমাধানে সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে প্রেস সচিব বলেন, "আগের সরকার গ্যাস অনুসন্ধান করলেও সেটি ছিল অপর্যাপ্ত। আমরা দ্রুত খনন কার্যক্রম বাড়াতে চাই, যাতে স্বল্পমেয়াদে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়।"
তিনি সতর্ক করেন, "যদি শক্তির সংকট সমাধান করা না যায়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। বড় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন বাড়াতে চাইলেও যদি গ্যাস বা বিদ্যুৎ না পায়, তাহলে তারা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে না।"
তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকার তাদের শেষ দুই বছরে কোনো বিদেশি কোম্পানিকে মুনাফা দেশে ফিরিয়ে নিতে দেয়নি। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হয়েছিলেন। বড় কোম্পানিগুলো—যেমন, মেটলাইফ, শেভরন বা আদানি—যারা বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, তারা তাদের মুনাফা বাইরে নিতে পারছিল না।
এই ধরনের সমস্যার কারণে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই নীতির পরিবর্তন এনেছে। সরকারের এই উদ্যোগ দেশের এনার্জি খাতকে আরও কার্যকর ও টেকসই করে তুলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিলা ইসলাম