
আগামী মে মাসে এফবিসিসিআই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে
আগামী মে মাসে এফবিসিসিআই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, সরকার-নিযুক্ত প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত নতুন যে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে তা অনুমোদনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আহমেদ সেই বিধিমালায় স্বাক্ষর করলেই প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার।
এ ছাড়া ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হলে অতিরিক্ত আরও কয়েকটি দিন লাগতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মে মাসেই এফবিসিসিআই নির্বাচন করতে চায় সরকার। একটি নিরপেক্ষ ও ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন করা হবে। যেখান থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের যোগ্য নেতা বেছে নিতে পারবেন। তবে কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করা হলো সে বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে, সংস্কার করে দ্রুত এফবিসিসিআই নির্বাচনের দাবি করে আসছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের আহ্বায়ক ও সংগঠনটির সাবেক সহসভাপতি মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল সম্প্রতি এফসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংগঠনটির সাবেক সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন রাজেশসহ ব্যবসায়ী নেতারা। মীর নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার মনোনীত প্যানেলের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও বিপুল বিজয় পান। নির্বাচনে এই প্যানেল থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিচালক নির্বাচিত হউন। গড়ে তোলেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
এবার সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ মনোনীত পরিচালক প্রথা বাতিল করে সকল পদে সরাসরি ভোট দাবি করে আসছে। ইতোমধ্যে সভাপতি ও সহ-সভাপতিসহ সকল পদে সরাসরি ভোট হওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়টি নতুন বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে আছি। এ ছাড়া দ্রুত নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, নতুন বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে সরকার।
সেখানে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে এফবিসিসিআইতে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ থাকা জরুরি হয়ে পড়ছে। এ কারণে বাজেট উপস্থাপনের আগেই নির্বাচন চাই। আশা করি প্রশাসক মহোদয় এ ব্যাপারে সব ধরনের উদ্যোগ নিবেন। এ ছাড়া শতাধিক পণ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানোর সমালোচনা করে তিনি বলনে, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়বে। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীরা নতুন করে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন না। ইতোমধ্যে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।