
ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন
অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ এবং ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূইয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শওকত আলী খান, সদস্য আবুল কালাম, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বাণিজ্য উপদেষ্টার উদ্দেশে দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে সয়াবিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে দস্তখত দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে চলে যাবেন। আপনাকে আমরা মন্ত্রণালয়ে দেখতে চাই না। এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বিশৃঙ্খলা দূর করবেন। রমজানে বাজারে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালকের উদ্দেশে তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে আপনার দরোজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। আপনি এখানে অফিস করতে পারবেন না। আইনে যেভাবে খুচরা তেল সরবরাহের কথা বলা আছে, সেটি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। আইন মেনে আপনারা কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আইন অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ দ-নীয় অপরাধ। বাংলাদেশে ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ এবং ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, সব ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক।
খোলা ড্রামের অনিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে নানাবিধ রোগব্যাধি বিশেষত অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন তিনি মাসখানেক হলো বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছেন এবং খোলা ও বোতলজাত সয়াবিনের মান একই। শুধু দামেই তফাত। বাণিজ্য উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কেননা এরই মধ্যে গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের বাজারে ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেলই ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নয় এবং বাকি ৩৪ শতাংশ ভোজ্যতেলে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই।