.
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, বাজারে এত এত স্বর্ণ অথচ আমদানি নেই কেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। জবাবটা আমি খুঁজতে চাই।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এটা দেশের মানুষের জন্য, কারও জন্য ভালো না। তাহলে এ খারাপ কাজটা আমরা কেন কন্টিনিউ করছি। আর যদি বলেন এটা করছি না, তাহলে এগুলো আসে কোথা থেকে। আমরা ১০০টার মধ্যে একটা ধরতে পারি। ৯৯টা আমরা ধরতে পারি না, নানা কারণে। এজন্য আমরা সমস্যাগুলো শুনতে চাই। তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যাগুলো কী আমাদের জানান। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সমস্যাগুলো জেনে সমস্যা দূর করতে চাই। এত এত স্বর্ণ বাজারে অথচ স্বর্ণ আমদানি নেই কেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এটার জবাব আমি খুঁজতে চাই। অলিম্পিক ফাইবারের রেয়াত ও ভ্যাট ফাঁকির তেলেসমাতিতে স্বর্ণ আমদানি কম হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যাত্রীরা যারা বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনেন তাদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় কর দিতে হয়। কিন্তু যারা আমদানি করেন তাদের ক্ষেত্রে কর অনেক কম। তারপরও আমাদের স্বর্ণ আমদানি হয় না কেন? দেশে এত এত জুয়েলারি, এসবে স্বর্ণ আসছে, বিক্রি হচ্ছে কিন্তু আমদানির কোনো রেকর্ড নেই। আমদানির রেকর্ড খুবই সামান্য। অথচ আমদানি নীতিমালা আছে। মো. আবদুর রহমান খান বলেন, অনেক প্রবাসী স্বর্ণ নিয়ে আসেন। তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ব্যাগেজ নীতির অপব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ব্যাগেজ রুলসটা পরিবর্তন করব। যাতে ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারে।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে সাড়ে ১৭ কেজি জব্দ করা হয়েছে সিলেটে। এটা একদিকে বেআইনি কাজ, এর জন্য বড় বড় শাস্তি আছে।
