ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বৈদেশিক ঘাটতি ৮৯ ভাগ কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:১৪, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বৈদেশিক ঘাটতি ৮৯ ভাগ কমেছে

বৈদেশিক ঘাটতি ৮৯ ভাগ কমেছে

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশের বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্য হিসেবে পরিচিত ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বিওপি) ঘাটতি প্রায় ৮৯ শতাংশ কমেছে। আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরবর্তীতে বন্যা এবং বিভিন্ন দাবিতে চলমান আন্দোলনের কারণে সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও এই উন্নতি এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে মোট  বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩.৪৫ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় ৩.০৭ বিলিয়ন ডলারের উন্নতি প্রতিফলিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এই অর্থবছরের প্রথম তিন মাস বাংলাদেশের জন্য খুব বেশি স্বস্তিজনক ছিল না।

তারপর নানান দাবি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন হয়েছে। তিনি বলেন, এসবের মধ্যেও আমরা ট্রেড ব্যালেন্স, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স এবং ফাইনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে আগের তুলনায় অনেক উন্নতি করেছি। এটি সামগ্রিকভাবে দেশের ফরেক্স রিজার্ভ ও এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর চাপ কিছুটা কমিয়েছে। 
তবে ইতিবাচক সূচক সত্ত্বেও, অর্থনীতিবিদ জাহিদ একটি উদ্বেগজনক বিষয় তুলে ধরেছেন। এটি হলো এরর অ্যান্ড এমিশন’ (ত্রুটি এবং বাতিল) বিভাগে ১৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে ৭৫১ মিলিয়ন ডলার থেকে  বেড়ে ২.০১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

তিনি উল্লেখ করেছেন, যদি এই পরিমাণ কম হতো তবেমোটেই কোনো ব্যালান্স অব পেমেন্ট ঘাটতি থাকত না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ঘাটতির মূল কারণ হলো ‘এরর অ্যান্ড এমিশন’-এর নেগেটিভ বা নেতিবাচক ভারসাম্য।

×