মোবাইলে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান নগদ
মোবাইলে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান নগদ-এ প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক ও তানজির আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান শেষে এমন তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার কথা জানান তারা।
তানজির আহমেদ বলেন, আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। দুদকে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে এসব নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, নগদের ৭০ শতাংশের বেশি মালিকানা বিদেশী প্রতিষ্ঠানের। তাই বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখব। এ ছাড়া নগদের পেছনে আওয়ামী লীগের কে বা কারা রয়েছেন এবং ডাক বিভাগের সঙ্গে অন্যায্য চুক্তিতে কে কে প্রভাব রেখেছিল সেটিও যাচাই করা হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ এজেন্ট রয়েছে। এসব এজেন্টের মাধ্যমে গত এক বছরে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এজেন্টরা হুন্ডির মাধ্যমে ওই টাকা পাচার করেছে। এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতেই বুধবারের এই অভিযান।
এ ব্যাপারে নগদের প্রশাসক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ১,৭০০ কোটি টাকা পাচার এবং ৬০০ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়ম পাওয়া গেছে।