![ভালোবাসা দিবসে কমতে পারে গোলাপের দাম! ভালোবাসা দিবসে কমতে পারে গোলাপের দাম!](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/06-2502121855.jpg)
ছবি; সংগৃহীত
প্রচুর ফলন, চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় এ বছর ভালোবাসা দিবস ঘিরে গোলাপের দাম তুলনামূলক কম থাকবে। এর মাঝেও নিজেদের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন গোলাপ চাষীরা। মাঠ পর্যায়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে।
সাধারণত ৩০০টি গোলাপের প্রতিটি বান্ডিল বিক্রি হয় আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকায়। তবে ভালোবাসা দিবসে এই বান্ডিল বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়। তবে এ বছর এই দাম হতে পারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাভারের গোলাপ গ্রামের ফুলচাষিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকার অদূরে গোলাপ গ্রামের অবস্থান। সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই সারা বছর বাণিজ্যিকভাবে গোলাপের চাষ হওয়ায় স্থানটি গোলাপ গ্রাম নামে পরিচিত।
এ বছর ১শ ২০ শতাংশ জমিতে গোলাপ চাষ করেছেন আব্দুল খালেক। এ বছর দাম কেমন হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যান্য বছর ভালোবাসা দিবস ঘিরে পাইকারি পর্যায়েই ৩০০ গোলাপ বিক্রি হয় ৭-৮ হাজার টাকায়। কিন্তু এ বছর এরকম হবেনা। কিছুটা কম হবে, কারণ সবারই ভালো ফুল হয়েছে। বড়জোর ৫ হাজার টাকা হতে পারে ৩০০ গোলাপ।
তিনি আরও বলেন, অক্টোবর মাসে যখন সবাই গাছ ছেঁটে ফেলেন তখন গোলাপের দাম থাকে সর্বোচ্চ। কারণ তখন কারও গাছে গোলাপ থাকেনা। এছাড়া বছরের বাকি সময়ে ৩০০ গোলাপ বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। তখন বিষ-পানির দামটা ওঠানো যায়। উপজেলার প্রায় ৩০৫ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হচ্ছে।
উপজেলার কৃষি অফিস বলছে, উপজেলার প্রায় ৩০৫ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হচ্ছে, এর মধ্যে গোলাপের চাষ হয়েছে ২৩০ হেক্টর জমিতে। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই ৪ মাস গোলাপের মূল মৌসুম। উৎপাদন ও দাম দুটোই বেশি থাকে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৪ লাখ ফুল পাওয়া যায়।
সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আমরা গোলাপ চাষীদের সকল ধরণের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। এ বছর গোলাপের ফলন খুব ভাল হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপদ যেমন রোগ-পোকা এসব নেই। বাজারে বিগত সময়ের চেয়ে দাম টা একটু কম হলেও ভালবাসা দিবস বা সামনে মাতৃভাষা দিবসে চাষীরা ভালো দাম পাবেন।
শহীদ