![বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ২৫ কর্মকর্তার লকার সুবিধা নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ২৫ কর্মকর্তার লকার সুবিধা নেই](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/5-2502091802.jpg)
.
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান ২৫ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এসব কর্মকর্তার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কোনো লকার সুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদক পরিচালক কাজী মোহাম্মদ সায়েমুজ্জামান। তিনি বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের লকার সুবিধা আছে কিনা তা সরেজমিনে দেখতে এসেছিলাম।
রবিবার ঢাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে দুদক পরিচালক কাজী মোহাম্মদ সায়েমুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রেজিস্টার পরীক্ষা করে অভিযুক্তদের কোনো লকার সুবিধা পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার লকার সুবিধা আছে কিনা সেটি দেখা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুদকের কাছে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আদালতের নির্দেশক্রমে অন্য কর্মকর্তাদেরও সুবিধা আছে কিনা সেটি দেখা হবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে বা প্রমাণ পাওয়া গেলে যত প্রভাবশালী হোক কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দুদকের একটা টিম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ২৫ জনের একটা তালিকা নিয়ে এসেছিল। সেফ ডিপোজিট রেজিস্টারে তাদের নামই নেই। এখন নতুন করে কারও তালিকা নিয়ে এলেও তা দেখাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধারের পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে লকার খোলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ চান দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম প্রকাশ পাক। দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। এছাড়া সংস্থার কাছে তদন্তের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের, নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুস, পরিচালক ইমাম আবু সাঈদ, পরিচালক (এফপিআইবি) সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক আবদুর রউফ, মঞ্জুর হোসেন খান, মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।