ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

ইমারত বিধিমালা চূড়ান্ত করার তাগিদ

১৫ দিনের মধ্যে বেআইনি ড্যাপ সংস্কার চায় রিহ্যাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:২৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

১৫ দিনের মধ্যে বেআইনি ড্যাপ সংস্কার চায় রিহ্যাব

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বেআইনি ড্যাপ সংস্কার

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বেআইনি ড্যাপ সংস্কার এবং ইমারত বিধিমালা চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রিহ্যাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট-২, মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ ইঞ্জি. আব্দুল লতিফ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) আব্দুর রাজ্জাক, রিহ্যাব পরিচালক প্রেস এ্যান্ড মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্, রিহ্যাব পরিচালক দেওয়ান নাসিরুল হক, মো. কামরুল ইসলাম, এএফএম উবায়দুল্লাহ, ড. মো. হারুন অর রশিদ এবং মো. আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ ড্যাপ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ক্ষোভে ফুসসে ঢাকাসহ বড় বড় শহুরগুলোর জমির মালিকরা। আমরা রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বৈষম্যমূলক ড্যাপ এবং নির্মাণ বিধিমালা নিয়ে অসংখ্যবার সভা করেছি, চিঠি দিয়েছি, নতুন প্রস্তাবনা দিয়েছি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েছেন, বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে ড্যাপ এবং নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করবেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও এই বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমরা অনেক দিন ধৈর্য ধরেছিলাম। অন্য সংস্থা বা সংগঠনের মতো আমরা রাস্তায় আন্দোলন না করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিব্রত না করে সহিষ্ণুতার সঙ্গে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের (আবাসন ব্যবসায়ীদের) পিঠ একেবারে দেওয়ালে ঠেকে গেছে। নানা ছলচাতুরী করে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। 
সংবাদ সম্মেলন থেকে ড্যাপ ও নির্মাণ বিধিমালার সঙ্গে  সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে বলতে চাই, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো ধরনের কোনো সময়ক্ষেপণ এবং টালবাহানা চলবে না। এই সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে জমির মালিকসহ সব অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে।

আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। সংবাদ সম্মেলেন আবাসন খাতের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, সব কিছু বিবেচনা করে এই সেক্টরের বিশেষজ্ঞগণ এবং সরকার অনেক যাচাই বাছাই সাপেক্ষে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ জারি করেন। সেখানে খাল-বিল জলাশয় সংরক্ষণ এবং রাস্তা প্রশস্তকরণের ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, নতুন ড্যাপের কারণে ঢাকা মহানগরের ৮০ শতাংশ অপরিকল্পিতই থেকে যাবে।

শহর এমন একটা মরণ ফাঁদে পরিণত হতে যাচ্ছে যাহাতে ফার কমিয়ে দেওয়ার ফলে ভূমি মালিকগণ ভবন নির্মাণে নিরৎসাহিত হচ্ছেন। ফলে মহল্লার রাস্তাগুলো অপ্রস্থই থেকে যাচ্ছে এবং ফাঁকা জায়গা/ সেমিপাকা জায়গা/পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনগুলো অস্বাস্থ্যকরই থেকে যাচ্ছে।

×