এফবিসিসিআই নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা
মনোনীত পরিচালক প্রথা বাতিল করে দ্রুত এফবিসিসিআই নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার থেকে সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ আয়রণ এ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সদ্য বিদায়ী এফবিসিসিআই পরিচালক আমির হোসেন নূরানী দ্রুত নির্বাচন চেয়ে প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়ে ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।
সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সংগঠনটিতে সরকার কর্র্তৃক নিযুক্ত প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে এফবিসিসিআই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই নড়েচড়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। আমির হোসেন নূরানী লিখিত চিঠি দিয়ে যেসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন তা হলো- এফবিসিসিআই নির্বাচন মানেই ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া। যে জন্য এফবিসিসিআই বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল সেই নমিনেটেড কথাই রয়ে যাচ্ছে তাহলে ভোট ভেঙে দেওয়ার মানে কি এই নমিনেটেড কথা আর কোনভাবেই রাখা যাবে না।
সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ৪০০ ৪৩০টি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করে সরাসরি সরকারের অর্থনীতি কর্মকা-ে তুলে ধরতে পারনে। ডাইরেক্টর প্রথা বাতিল করে সরাসরি জিবি মেম্বারদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বার এর ডাইরেক্টর সহ-সভাপতি সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সভাপতি সকল ক্ষেত্রে এ বিসিসিআইয়ের জিবি মেম্বারদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।
নতুন ব্যবসায়ীর নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে পরপর দুই টার্মের বেশি কোন ডাইরেক্টর নির্বাচন করতে পারবে না তবে কেউ চাইলে একটা ড্রপ দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। আমাদের দেশে ঝগঊ সেক্টর প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থনীতিক ভূমিকা পালন করে থাকে। ছোট ছোট সেক্টরের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এফবিসিসিআইয়ের ভোটের মাধ্যমে পরিচালক হওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
লিখিত চিঠিতে বলা হয়, যখন কোন পরিচালক ৪৩০ টা অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ২২০০ ভোটারের কাছে যাবে তখন প্রত্যেকটি সেক্টরের সম্পর্কে তার একটা ভালো ধারণার জন্য এবং এর প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে পারবে।
এবং এই ৪৩০টি অ্যাসোসিয়েশন যখন কোন পরিচালক নির্বাচিত করবে তখন একজন ভালো যোগ্য পরিচালক বেরিয়ে আসবে এবং ওই পরিচালক তার সেক্টরে অবদান তো রাখবৈ এবং ছোট ছোট সেক্টরের বিষয় সে অবদান রাখতে পারবে এবং দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিত্ব করে দেশের সফলতা বয়ে আনতে পারবে। প্রেসিডেন্ট এর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য বোর্ডে দুই তৃতীয়াংশ পরিচালকের সমর্থনে কোন প্রস্তাব পাস করতে হবে।
পরিচালক যোগ্যতার একটি মাপকাঠি তৈরি করতে হবে ফলে ভালো ও যোগ্য পরিচালক বেরিয়ে আসবে যাতে অযোগ্য ব্যক্তিরা পরিচালক হওয়ার সুযোগ না পায় এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যাতে বেরিয়ে আসে পরিচালকদের ক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো ব্যবসায়ে ১০ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে হলে তাকে অবশ্যই একবার হলেও পরিচালক হত হবে এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে হলে তাকে একবারের জন্য হলেও তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে হবে এবং প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলে তাকে অবশ্যই সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে পূর্বে নির্বাচিত হতে হবে।
এফবিসিসিআই নির্বাচনী পরিচালক সহসভাপতি সভাপতি রাজনীতি বিবেচনার ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। এফবিসিসিআইয়ের ভেতরে ও সংস্কার করতে হবে কেউ দুর্নীতি করলে বা কেউ কোন টাকা আত্মসাৎ করলে তাদের ভেতরে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে আইনের সংস্কারের প্রয়োজন আছে। বর্তমানে এফবিসিসিআই নেতৃত্ব শূন্য থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। নেতৃত্বশূন্যতার সুযোগে রাজস্ব বোর্ড অন্যায়ভাবে ভ্যাট বাড়াচ্ছে শুল্ক বাড়াচ্ছে।