বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশ
পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ছয়টি ব্রোকারেজ হাউজের পুরো কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোর নাম হলো- সিনহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-৬৭), আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-১২৯), এসআইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ৯৪), বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ৩০), আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ১৯২) ও গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ৫৯)।
এছাড়া বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ ও গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মুসতারি জাহান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল বাতেন।
তথ্য মতে, বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিএসইসির তদন্তের আদেশ:
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে যে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে সিনহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, এসআইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুল ১৭ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১৫ ও ১৬ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন তিনজন করে মোট ছয়জন কর্মকর্তাকে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কার্যক্রম তদন্ত করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো। পরিদর্শক কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন।
এম হাসান