বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে টাকা ফেরত পেতে কিছুটা সময় লাগবে এবং এই প্রক্রিয়াটি পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকার সিরডাপ অডিটোরিয়ামে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) আয়োজিত "বাংলাদেশে মাইক্রো ফাইন্যান্স, জুন ২০২৪" শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একজন এনজিও প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে এস আলমের ব্যাংকে অর্থ জমা করার বিরুদ্ধে তার দীর্ঘদিনের সতর্কবার্তা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় উচ্চ সুদের হারের প্রলোভনে গ্রাহকরা যে ঝুঁকির মুখোমুখি হন তা তুলে ধরেন গভর্নর।
তিনি বলেন, "আমরা গ্রাহকদের উদ্ধার করব, তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব নয়। আমরা পর্যায়ক্রমে আগাবো এবং আমাদের কিছু সময় প্রয়োজন। ব্যাংক রেজোলিউশন আইন বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে, যার মধ্যে কিছু ব্যাংকের একত্রীকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।"
মনসুর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এ বছর অনেক কিছু করা হবে, এবং আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে আপনি আপনার অর্থ এবং সম্ভবত কিছু বন্ডও পাবেন।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে (এমএফআই) আধুনিকীকরণ করা উচিত এবং প্রযুক্তি-ভিত্তিক এজেন্ট ব্যাংক আউটলেটের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় পরিষেবা প্রদানকারী ব্যাংকগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করা উচিত।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ১৬ হাজার এজেন্ট ব্যাংক আউটলেট কাজ করছে এবং এই সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাংকগুলির এজেন্ট আউটলেটগুলি সুসজ্জিত এবং ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের ক্লায়েন্টদের নির্ভরযোগ্য পরিষেবা প্রদান করে।
এমআরএ-এর নির্বাহী সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
জনকণ্ঠ/এসআরএস