ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১

২০০ তরুণকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস ইন্টারন্যাশনাল

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৮:৩৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

২০০ তরুণকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস ইন্টারন্যাশনাল

এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। 

সুবিধাবঞ্চিত তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম ও বগুড়ার সুবিধাবঞ্চিত ২০০ তরুণ উদ্যোক্তাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলেছে এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর এক হোটেলে বেস্টসেলার ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়নের উৎস নিশ্চিতের মাধ্যমে বগুড়া ও চট্টগ্রামের দু’শো তরুণ উদ্যোক্তাদের মৌলিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যুব উদ্যোক্তা এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মূল ফলাফলও তুলে ধরা হয়।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ক্ষ (এনএসডিএ) এর অতিরিক্ত সচিব মিস আলিফ রুদাবা। তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগটি যুব সমাজের জীবনের পরিবর্তনে দক্ষতার উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা হওয়ার শক্তির প্রমাণ। এই যুবকদের সাফল্যের গল্প সকলের জন্য টেকসই অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তরুণ পজন্মের জীবনে এই প্রকল্পের প্রভাব সত্যিই অসাধারণ। এটি উদ্যোক্তাদের প্রতিভা বিকাশের একটি সঠিক সহায়তা এবং রিসোর্স প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেইসাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেও অগ্রসর করে তুলছে।’

এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ড. মো. এনামুল হক বলেন, ‘অংশগ্রহণকারীদের কৃতিত্বের জন্য আমরা গর্বিত। বেস্টসেলার ফাউন্ডেশনকে সহায়তার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র তরুণ প্রজন্মকে ক্ষমতায়নই করেনি বরং তাদের পরিবারেও ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।’

আরও উপস্থিত ছিলেন- এ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারপারসন মিস তাহেরা ইয়াসমিন, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আশরাফ হোসেনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের সামনে ‘অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়নের উৎস নিশ্চিতের মাধ্যমে বগুড়া ও চট্টগ্রামে দু’শো তরুণ উদ্যোক্তাদের মৌলিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির কার্যপরিধি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আশরাফ হোসেন। তার আলোচনায় প্রকল্পটির আওতায় উদ্যোক্তা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দু’শো সুবিধাবঞ্চিত যুবকের জীবনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন উঠে আসে। এমনকি তাদের পরিবারও এখন স্বচ্ছলভাবে জীবন-যাপন করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রোগ্রামে উপস্থিত উপস্থিত তরুণরা।

প্রকল্পটির মাধ্যমে কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণ সেশন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য লজিস্টিক সহায়তা এবং অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি স্থিতিশীল আয় নিশ্চিত করতে ক্রমাগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এরইমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বগুড়া ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের যুবক ও তাদের পরিবারগণ অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়েছে।

এম হাসান

×