ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

হাসিনা সরকারের আমলে পাচার হওয়া ১৭ বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে নতুন পদক্ষেপ

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৯:৪৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

হাসিনা সরকারের আমলে পাচার হওয়া ১৭ বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে নতুন পদক্ষেপ

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) পাচার হওয়ার ঘটনাটি বর্তমানে গভীর তদন্তের আওতায় রয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানের তিনটি বড় হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠান—ইওয়াই, ডেলয়েট এবং কেপিএমজি-কে নিয়োগ দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি এই অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, পাচার হওয়া অর্থের মাধ্যমে বিদেশে কেনা সম্পদের উৎস সনাক্ত করতে এবং তা পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইতোমধ্যে ১১টি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিনি আরও বলেন, দেশের সরকার এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর তার সাক্ষাৎকারে জানান, দেশের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনকালে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি এবং অর্থ লোপাটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আরও জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ কোথায় গিয়েছে এবং কীভাবে তা উদ্ধার করা সম্ভব, এ বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল নির্ভুল তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে। তবে, অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তিনি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এই ঘটনায় দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতার প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

নুসরাত

×