ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

ইআরএফ-এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ কর্মশালা

এসএমই নীতিমালা বাস্তবায়নে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

এসএমই নীতিমালা বাস্তবায়নে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন

বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে ২০১৯ সালের নীতিমালা

বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে ২০১৯ সালের নীতিমালা মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় শিল্প মন্ত্রণালয় তৈরি করছে এসএমই নীতিমালা ২০২৫। তবে এই নীতিমালা বাস্তবায়নে নজরদারির পাশাপাশি বাস্তবায়নে সহযোগী মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর জন্য বাজেটে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

বুধবার এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন-ইআরএফের সহযোগিতায় ‘এসএমই নীতিমালা-২০২৫: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুশফিকুর রহমান।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকিন আহমেদ।  কর্মশালা সঞ্চালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিরও প্রাণশক্তি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাত। বাংলাদেশের জিডিপিতে এই খাতের অবদান প্রায় ২৮ শতাংশ। শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে। এই খাতের বিকাশ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকারি নীতিমালা, কৌশলপত্র ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের অবদান বাড়ানোর লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এসএমই নীতিমালা ২০২৫ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমাদের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে এই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

×