ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খানের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরিদর্শনে সিটি গ্রুপের জিএম (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন) এম এ জলিল, ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ সাহা, এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইদ রফিকুর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিটি গ্রুপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা ১১,৯৩৮ টন পাম অয়েল আমদানি, ১২,২৭২ টন উৎপাদন এবং ১১,১১২ টন ডেলিভারি করেছে। একই সময়ে তারা ২০,০২৫ টন সয়াবিন তেল আমদানি, ৩৩,৪৫২ টন উৎপাদন এবং ২৯,৪১৫ টন ডেলিভারি করেছে। ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সয়াবিন তেল ও পাম তেলের ডেলিভারি যথাক্রমে ১৭,১৮০ টন এবং ৩,৭৯৬ টন।
অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন এবং পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম মেঘনা গ্রুপের সোনারগাঁও সিড ক্রাশিং মিলস পরিদর্শন করেন। মেঘনা গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে তারা ৪০,৫৮৯ টন সয়াবিন তেল আমদানি এবং ২৪,৪৯৭ টন ডেলিভারি করেছে। পাম তেলের আমদানি ও ডেলিভারি পরিমাণ যথাক্রমে ৯,৯৫৪ টন ও ৬,৯৪২ টন।
ভোজ্যতেলের সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখতে এবং আসন্ন রমজানে সংকট এড়াতে উভয় গ্রুপকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ভোজ্যতেলের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
যানজটের কারণে শবনম ভেজিটেবল অয়েল (টি কে গ্রুপ) এবং বাংলাদেশ এডিবল অয়েল পরিদর্শন সম্ভব হয়নি বলে অধিদপ্তর জানায়। তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
রিফাত