ভ্যাট না বাড়ালে টাকার মানের অবনতি ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, “টাকার মান ধরে রাখতে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভ্যাট ও ট্যাক্স বৃদ্ধি অপরিহার্য। এখন ১২৫ টাকায় ডলার কিনছেন, কিন্তু দ্রুতই তা ১৯০ টাকা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি নিশ্চিত করতে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।”
বাংলাদেশের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ২০২১ সাল থেকে ক্রমশ কমে আসছে উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা থাকলেও আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এই রাজস্ব ঘাটতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে চাপ পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত অত্যন্ত কম, যা অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট নয়। ট্যাক্স বৃদ্ধির পেছনে সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজস্ব বাড়িয়ে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা।”
সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি এবং জনগণের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, “প্রভাব খুবই সামান্য হবে। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ঠিক রাখতে এই পদক্ষেপ জরুরি। সরকারের লক্ষ্য অস্থায়ী সমাধান নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করা।”
ভ্যাট বৃদ্ধি নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া ভুল ধারণা দূর করতে সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আফরোজা