ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমে দেশের অবস্থা নিয়ে একটি টক শো হয়। সেখানে আলোচনা হয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্ব্যালয়ের অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী।
একপর্যায়ে উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন সরকারি আয় বাড়াতে রাজস্ব আদায় ছাড়াও অর্থনৈতিক পরিবর্তন সম্ভব হয়। তাহলে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হল?
সেখানে অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী বলেন, 'দেখেন আমাদের এই যে মহার্ঘ ভাতা বেড়েছে এইটার পেছনে কোন যৌক্তিক কারণ নেই। আসলে সরকারি আয়টা বাড়ানো খুবই জরুরী। কিন্তু সরকারি আয়ের জন্য ব্যয় বাড়ানোর কোন কারণ নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'দেশের যে পরিস্থিতি এই অবস্থায় ব্যয় বাড়ানোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।'
সরকারি চাকরিজীবীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলে, 'আমাদের যে সরকারি চাকরিজীবীরা আছেন। তারা বলছেন তাদের বেতন বাড়ানো প্রয়োজন। সাধারণত পাঁচ শতাংশ করে বাড়ানো হয় আমরা এই বছর তাদের ৫% এবং নতুন করে ৫% বাড়িয়ে সেটাকে দশ শতাংশ বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছি।'
ব্যয় বাড়ানো প্রসঙ্গে বলেন, 'আয় বাড়ানোর পাশাপাশি বা এটা কেউ বাড়াতে হয়। আমার মনে হয় এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চাপের মুখে পড়ে। বিগত কয়েক বছরে মূল্য স্মৃতি যেভাবে বেড়েছে এতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়ংকর হয়ে গেছে।'
কর বাড়ানোর কথা তুলে তিনি বলেন, 'মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয় সরকার দুর্বল হলে। আমরা সবাই জানি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্বল সরকার। অনেক সময় প্রশ্ন আসে তারা তাদের রাজনৈতিক বৈধতা কতটুকু। তারা কিন্তু ভোটের মাধ্যমে মানুষের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসেননি।
তাদের শক্তি রাজনৈতিক শক্তি অনেকটাই কম এই কারণে সরকারি অন্যান্য যে ফোর্স আছে তাদের চাপে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।'
শিলা ইসলাম