ছবি: সংগৃহীত
গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ শিল্পকে সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।
সংগঠনটি জানায়, বছরে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের পণ্য সরাসরি রপ্তানি করা হলেও সরকার এখনও তাদের সহযোগী শিল্প হিসেবে বিবেচনা করছে।
শনিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) মেজ্জানিন ফ্লোরে চারদিনব্যাপী দুটি প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে এই দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি মো. শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, “তৈরি পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য রপ্তানি করে বছরে প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করা হচ্ছে। অথচ আমাদের এখনো সরাসরি রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও ভালো অবস্থান অর্জন সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএপিএমইএর সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মন্তব্য করেন, “সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সভায় আমাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলে শিল্পের সমস্যা সমাধান ও ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হবে।”
এই প্রসঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “সঠিক তথ্য পেলে এই খাতের স্বীকৃতি ও সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রদর্শনীতে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এম এ কাশেমও বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, গার্মেন্টস টেকনোলজি প্রদর্শনী বাংলাদেশ (জিটিবি ২৫)-এর ২২তম এবং গ্যাপ এক্সপো ২০২৪-এর ১৪তম আসর যৌথভাবে আয়োজন করে বিজিএপিএমইএ এবং এএসকে ট্রেড শো অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড। আইসিসিবির আটটি হলে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীতে ২৫টি দেশের ৫০০টি প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ, প্যাকেজিং সামগ্রী, সুতা, বোতাম এবং টেক্সটাইল মেশিনারিজ প্রদর্শন করে।
এই খাত বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে, যা শ্রম অসন্তোষমুক্ত একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। তা সত্ত্বেও, স্বীকৃতি না পাওয়া এই শিল্পের অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
এম.কে.
