পর্যটন শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক
বাংলাদেশে পর্যটন, নির্মাণ শিল্প ও অবকাঠামো, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, শিপিং, এয়ারলাইন্স, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বড় সম্ভাবনা দেখছেন তুরস্কের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এসব খাতে যৌথ কিংবা সরাসরি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত বাংলাদেশ-তুরস্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শীর্ষক গোলটেবিল সভায় এসব কথা জানান বাংলাদেশ সফরে আসা তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। সভায় সভাপতিত্ব করেন দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
সভায় তুরস্কের বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী ড. ওমের বোলাত বলেন, তুরস্কের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং তাদের আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তুরস্কের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ কেবল একটি বাজার নয় বরং অন্যতম একটি ’বিজনেস হাব’ হিসেবে বিশেষভাবে বিবেচিত। পর্যটন, অবকাঠামো, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, শিপিং, এয়ারলাইন্স, আইসিটি, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গোলটেবিল সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গতানুগতিক খাতসমূহের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এ সময় ঔষধ শিল্প, জ্বালানি, নির্মাণ শিল্প ও অবকাঠামো, পর্যটন প্রভৃতি খাতে তুরস্কের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই -এর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। তবে এখনও অনাবিষ্কৃত অনেক নতুন এবং সম্ভাবনাময় খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। মো. হাফিজুর রহমান বলেন, তুরস্ক একটি শক্তিশালী এবং উন্নত অর্থনীতির দেশ। দক্ষতা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, গবেষণা প্রভৃতি বিষয়ে তাদের সহযোগিতা আমাদের জন্য জরুরি। পর্যটন, এভিয়েশন, শিপিং প্রভৃতি শিল্পে তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম অংশীজন।