
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫
দর্শনার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ও সুবিধা রেখে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫। প্রতিবারের মতো এবারও মেলাটির যৌথ আয়োজক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। ঢাকার অদূরে নতুন শহর পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চতুর্থবারের মতো মেলাটির আয়োজন হতে যাচ্ছে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ যেন না হয়- এবারের মেলায় সেটিই প্রাধান্য পেয়েছে। মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মাসব্যাপী চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় যেন জনদুর্ভোগ তৈরি না হয়, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেলায় আসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দুই শতাধিক ডেডিকেটেড বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় পর পর বাসগুলো ছেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে শুধু মেলার জন্য এসব বাসে নতুন করে ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ শতাংশ ছাড়ে মেলায় যাত্রী পরিবহন করবে উবার। এজন্য ইপিবি ও উবারের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
এ ছাড়া মেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে নতুনত্ব। মেলায় প্রথমবারের মতো অ্যাপসের মাধ্যমে ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণার্থে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।
এ ছাড়া এক্সিবিশন সেন্টারের দক্ষিণ-পূর্ব পার্শ্বে জুলাই চত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে কালচারাল সেন্টার, টেকনোলজি কর্নার, রিক্রিয়েশন কর্নার এবং সেন্টারের উত্তর-পূর্ব (ছয় একর) পার্শ্বে শিশু পার্ক ও উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে ছত্রিশ চত্বর ও পুরুষ-মহিলা উভয়ের জন্য আলাদা নামাজঘর স্থাপন করা হয়েছে।
এবারের মেলায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। এক্সিবিশন হলে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক আলাদা টয়লেটের পাশাপাশি এক্সিবিশন হলের বাইরেও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো পেইড প্রিমিয়াম টয়লেট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
মেলায় খাদ্যদ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গঠিত টিম মেলা চলাকালীন প্রতিদিন ভেজালবিরোধী মোবাইল কোর্ট চালাবে। পাশাপাশি আগত দর্শনার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও পেশেন্ট কেয়ার এটেনডেন্ট উপস্থিত থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় সম্ভাবনাময় খাত ও পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি বিদেশী উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার।