ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

আয়কর রিটার্ন দাখিলে এক মাস সময় বাড়ল

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আয়কর রিটার্ন দাখিলে এক মাস সময় বাড়ল

আয়কর রিটার্ন দাখিলে এক মাস সময় বাড়ল

ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের আয়কর বিবরণী (ট্যাক্স রিটার্ন) দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ সময় আগামী ৩১ জানুয়ারি এবং প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এনবিআর। ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ। 
এনবিআরের করনীতি উইংয়ের দ্বিতীয় সচিব (কর আইন-১) এইচ এম শাহরিয়ার হাসান স্বাক্ষরিত আদেশে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার বিষয়ে বলা হয়, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে জনস্বার্থে আয়কর আইনের ২০২৩ এর ৩৩৪ ধারার (খ) উপধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই আদেশ জারি করেছে এনবিআর। এর ফলে কোম্পানি ব্যতীত সকল করদাতার ২০২৪-২৫ করবর্ষের জন্য নির্ধারিত করদিবস ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এর পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ নির্ধারণ করা হলো।
অপরদিকে প্রাতিষ্ঠানিক করদাতার রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে বলা হয়, আয়কর আইনের ৩৩৪(ক) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আয়কর আইনে সংজ্ঞায়িত কোম্পানি করদাতাদের ২০২৪-২৫ করবর্ষের জন্য নির্ধারিত করদিবস ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ এর পরিবর্তে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ নির্ধারণ করা হলো।
আল-আমিন শেখ বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে করদাতাদের সুবিধার্থে ব্যক্তিশ্রেণির ও কোম্পানির সব করদাতার অনলাইনে ই-রিটার্ন ও অফলাইনে কাগজের রিটার্ন দাখিল উভয় ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়িয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর। 
নাম গোপনে এনবিআরের এক কর্মকর্তা রিটার্ন বৃদ্ধির কারণ নিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর দেশের অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি তাতে অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক ব্যবসায়ী পলাতক আছে। এ ছাড়া অনলাইনে রিটার্ন জমা নিয়ে করদাতাদের মধ্যে একটি দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে যে, তারা অনলাইনে দেবে নাকি অফলাইনে।

আবার অনেক করদাতা আছেন নির্ধারিত সময়ের পরে জরিমানা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে নতুন অনেক করাদাতা স্বেচ্ছায় রিটার্ন দাখিল করছেন। আমরা আশা করছি কর দাখিলের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

×