সোনালী ব্যাংক
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পিএলসির ইতিহাসে যুগান্তকারী পদোন্নতির মাধ্যমে বঞ্চিত কর্মীরা পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত পদোন্নতি। গত ২২ ডিসেম্বর একযোগে পদোন্নতি পেয়েছেন ব্যাংকের দুই হাজার চারশ’র মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী। ব্যাংকটির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, দীর্ঘকাল ধরেই সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রম খুবই শ্লথ অবস্থায় ছিল। অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে পদোন্নতি নিয়মিত ও সঠিক সময়ে হওয়ার নজির থাকলেও সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রম সব সময়ই দেরিতে সম্পন্ন হয়। বিগত বছরগুলোতে সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু হতো বছরের মাঝামাঝি ও শেষদিকে।
তাছাড়া অর্গানোগ্রামের কারণে বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী সঠিক সময়ে পদোন্নতি পেতেন না। বিআরসি পরীক্ষার মাধ্যমে একই সঙ্গে অন্য ব্যাংকে যোগদানকারী কর্মকর্তারা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চেয়ে পদোন্নতিতে এক থেকে দুই ধাপ এগিয়ে রয়েছেন।
এমনকি বিআরসির নিয়োগের মাধ্যমে নির্ধারিত অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা অন্যান্য ব্যাংকে যোগদান করে সঠিক সময়ে পদোন্নতি লাভ করায় বর্তমানে একাধিক ব্যাংকে এমডি হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু ওই একই ব্যাচে যোগদানকারী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা এখনো জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন। ব্যাংকের পদোন্নতি প্রক্রিয়া ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তাই দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মীদের মধ্যে তীব্র বঞ্চনা ও ক্ষোভ ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদোন্নতি নিয়ে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও জটিলতা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা গুরুত্বের সঙ্গে না দেখায় ক্রমেই কর্মী অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২১ সালে অর্গানোগ্রাম করে কিছুসংখ্যক নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে তিন বছরে উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিলেও বৃহত্তম ব্যাংক হিসেবে তা যথেষ্ট ছিল না।
ফলে কর্মীদের দাবির মুখে এ বছরের মাঝামাঝি পূর্বতন এমডির চেষ্টায় সুপারনিউমেরারি পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান এমডি অ্যান্ড সিইও দায়িত্ব গ্রহণ করেই এ বিষয়ে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেন। এর ফলে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর ফলে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে যারা একই পদে ছিলেন তারা সবাই পদোন্নতি পেয়েছেন।
ব্যাংকের যুগান্তকারী পদোন্নতি ও ভবিষ্যৎ পদোন্নতি জটিলতার সমাধান বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংক পিএলসির এমডি অ্যান্ড সিইও মো. শওকত আলী খান বলেন, পদোন্নতি একটি অধিকার। তাদের অধিকার নিশ্চিত করায় ক্ষোভ দূর হলো।
শহীদ