ছবি: ইন্টারনেট
গত তিন বছর ধরে দেশের গড় মজুরির তুলনায় মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। একই সঙ্গে শিক্ষা ব্যয়ের ক্রমবর্ধমান চাপেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গেল অর্থবছরের শেষের দিকে সঞ্চয়ে কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেলেও নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার পর থেকে তা ধারাবাহিকভাবে কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় কমে দাঁড়িয়েছে ২,০৮৭ কোটি টাকায়, যা সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ২,১৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে সঞ্চয় কমেছে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। গত চার মাসে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের হ্রাসের অর্থ হচ্ছে তারা মজুরি বা অন্য আয়ের তুলনায় নিয়মিত খরচ মেটাতে পারছে না, ফলে তাদের ব্যাংকে জমা রাখা সঞ্চয় তুলতে হচ্ছে। এটি দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির একটি সুস্পষ্ট প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। এ কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা মাত্র ১০০ টাকা জমা রেখে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে এবং বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, স্বল্প খরচে ডেবিট কার্ড, এবং অন্যান্য সুবিধা পায়। তবে সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক চাপে এ কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, সাধারণত বছরের শুরু ও শেষের দিকে খরচ বেশি থাকে, ফলে সঞ্চয় তোলা বাড়ে। তবে পুরো বছরের হিসেবে সঞ্চয়ের ধারাবাহিক পতন আর্থিক সংকটেরই ইঙ্গিত দেয়।
নাহিদা