ছবিঃ সংগৃহীত।
ঋণের শর্ত হিসেবে ডলারের বিনিময় হার বাজার দরের সাথে সমন্বয়ের শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ।যার ফলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে ডলারের বাজারে। দাম নির্ধারণে নতুন ক্রলিং পেগের কথাও বলেছে সংস্থাটি। বিষয়টি পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরই নতুন বিনিময় হার নির্ধারণ হবে বলে জানা গেছে।
আইএমএফ এর শর্ত মেনে বেঁধে দেয়া বিনিময় হার থেকে সরে আসার চেষ্টা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রথমে ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়া হলেও পরে ক্রলিং পেগ ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত মে মাসে একবারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা। এরপর বেশ কিছু দিন ১২০ টাকার আশপাশে লেনদেন হতে দেখা যায়।
সম্প্রতি আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে ডলারের দাম। অনেক ব্যাংক রেমিট্যান্স কিনছে ১২৫ থেকে ১২৬ টাকায়। ফলে, ঋণপত্র খুলতে প্রতি ডলারে গুনতে ১২৬ টাকার বেশি। আর খোলাবাজারে লেনদেন হচ্ছে ১২৭ টাকার ওপরে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে ক্রলিং পেগের কার্যকারিতা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘আপার’ আর ‘লোয়ার’ লিমিট আমরা সেট করে দিয়েছিলাম। হয়ত এর মধ্যে
তবে গত কয়েক মাস ডলার বাজার স্থিতিশীল থাকলেও আমদানি ও দায় পরিশোধের চাপ বাড়ায় ফের বাড়ছে দাম। ফলে, খোলাবাজারে ডলারের দর হয়েছে ১২৭ টাকা পর্যন্ত। ব্যাংকগুলোকে বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে ডলার। এ সময় ব্যাংকগুলোকে ১২৫ থেকে ১২৬ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার কিনতে দেখা গেছে। তাই, আইএমএফের পরামর্শে এবার নতুন ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলার সরবরাহ বাড়বে বলে মনে করে সংস্থাটি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডলারের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে। সেক্ষেত্রে অতি দ্রুত এর দাম সহনীয় না করা গেলে ভোগান্তি পোহাতে হবে সাধারণ মানুষকে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের জন্য বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনছে। এর প্রভাবে বেশ কিছুদিন স্থিতিশীল থাকা ডলারের দর বাড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে, বিনিময় হার বৃদ্ধি হবে মরার উপরে খড়ার ঘা। তাই শর্ত নিয়ে আইএমএফ'র সাথে আলোচনা করার পরামর্শ তাদের।
প্রসঙ্গত,২০২৬ সালের ডিসেম্বর শেষে ন্যূনতম নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। সেটি কমিয়ে এখন ১৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া চলতি ডিসেম্বর শেষে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার সংরক্ষণ করার শর্ত ছিল। গত সোমবার তা ছিল ১৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর কারণ হিসেবে বলা হয়, বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসরাত