দেশের বাজেটে প্রতি বছর আয়ের চেয়ে ব্যয়ের ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য করা সত্ত্বেও রাজস্ব আদায়ে এখনও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়নি। দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং সরকারের লক্ষ্য হলো রাজস্ব আদায় বাড়ানো, তবে এখনও তা অনেকটা দূরে রয়েছে।
এই বছরে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার গতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। অনলাইনে রিটার্ন জমার সংখ্যা বেড়েছে, তবে মোট রিটার্ন জমা পড়েছে মাত্র ২১ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে অনলাইনে জমা পড়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৬৯২টি রিটার্ন। প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ থাকে, তবে এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যতামূলক সেবা সংখ্যা ৪৪টি করা হয়, যার ফলে রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়ে। তবে, এর পরও দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে অনেক করদাতার সক্ষমতা কমে গেছে। অনেকেই সংসারের ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন, যার ফলে প্রকৃত আয়ও কমে যাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগ সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তেমন ফল পাওয়া যায়নি।
এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জীবনের খরচ বাড়ায় এবং অনেক করদাতা বিদেশে চলে যাওয়ায় রিটার্ন জমায় ভাটা পড়েছে। বিশেষ করে অনেক ব্যবসায়ী দেশে ফিরতে পারছেন না, যা আয়কর রিটার্ন জমায় প্রভাব ফেলেছে।
তবে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়ার আশা রয়েছে। এনবিআর-এর লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আয়কর আদায়ের জন্য আরও ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বাড়তি আয় করতে হবে, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দ্বারা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা।
জাফরান