ছবি: সংগৃহীত
আ.লীগের আমলে অনুমোদন পাওয়া তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলো হয়ে উঠেছে ব্যাংকিং খাতের বিষফোঁড়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ব্যাংকগুলোকে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল অর্থ লুটপাট ও পাচারের জন্য।
প্রতিষ্ঠার বছর বিবেচনায় বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোকে চারটি প্রজন্মে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। যেসব ব্যাংক ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে লাইসেন্স করেছে এবং তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে তাদের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক বলা হয়।
১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল এ সময়কালের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকগুলোকে দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যেসব ব্যাংক ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স পায় সেগুলোকে তৃতীয় প্রজন্মের ব্যাংক বলা হয়।
আর ২০১৩ সালের পরের ব্যাংকগুলোকে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক বলা হয়।
২০০৯ সালে আ. লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় তৃতীয় প্রজন্মের নয়টি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়। এখানেই শেষ নয় ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের আরও চারটি ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়। যদিও কার্যক্রমে আসার মাত্র কয়েক বছরের মাথায় বিপুল অংকের খেলাপি ঋণের কবলে পড়ে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন অর্থদিক বিবেচনায় ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দেয়া হয়নি, উদ্দেশ্য ছিল লুটপাটের। দূর্বল ব্যাংকগুলো বেশি ঋণ নিয়ে বড় ক্ষত তৈরি করেছে বলে অভিমত তাদের।
শিহাব