ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশেই চুরি ও দুর্নীতি হয়। তবে বাংলাদেশের মতো দুর্নীতি কোথাও নেই। এতদিন দেশে ক্ষমতাসীনরা টাকা ভাগাভাগি করে নিত, আর সাধারণ মানুষ পেত উচ্ছিষ্ট।
গেল রবিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে সম্মেলন বক্তা ছিলেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বাংলাদেশে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।
অনুষ্ঠানে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে দুর্নীতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। চুরি অনেক দেশেই হয়েছে। তবে বাংলাদেশে যা হয়েছে, তা বিরল। এ ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা আছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সব ধ্বংস করা হয়েছে। নীতিনির্ধারক, আমলা, ব্যবসায়ী সবাই মিলে নিয়ম ভেঙেছেন। দেশে দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে ইউপি চেয়ারম্যানরাও কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
শেয়ার ব্যবসায় কারসাজির অভিযোগে সম্প্রতি জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে জরিমানা করা হয়। এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সাকিব আল হাসানকে জরিমানা করা হয়েছে; সবার মাথাব্যথা হলো। সবাই হায় হায় করে বলছেন, এত বড় খেলোয়াড়কে জরিমানা করা হলো। অথচ তাকে দুই বছর আগেই জরিমানা করার কথা ছিল।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো বাজারে গেলে দুই-তিন ধরনের চাঁদাবাজ দেখা যায়। এদের ভেতর কিছু (চাঁদাবাজ) আগের সরকারের, কিছু লোক ভবিষ্যৎ সরকারের চাঁদাবাজ, আর কিছু লোক স্থানীয়। তারা পরস্পর সমঝোতা করে চাঁদাবাজি করে। বাজারে চাঁদাবাজির সমঝোতার সংস্কৃতি চালু থাকায় নিত্যপণ্যের মূল্য কমানো কঠিন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রণোদনার দিন শেষ। এটা ভবিষ্যতে করা সম্ভব হবে না।
এসআর