.
খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে চাল, সয়াবিন তেল ও ডাল কেনা হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কেনা হবে প্রয়োজনীয় সার। এ ছাড়া জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে আরও ২ কার্গো এলএনজি কেনা হবে। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এসব কেনাকাটার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এদেশের ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী। তারা ব্যবসা করবেন তবে অতিরিক্ত মুনাফা যাতে না করেন সেই দিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিক এবং এ লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই। আজকে আমরা সার, সয়াবিন তেল, চাল, মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।
এতে করে সয়াবিন তেলের দাম সহনীয় হতে পারে। রমজান পর্যন্ত যত ধরনের নিত্যপণ্য আছে চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি এগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করে মোটামুটি চেষ্টা করছি বাজারটা আরেকটু সহনীয় রাখতে। তবে একটু সময় লাগবে। বাজারে এখনো সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটা ২০০ টাকার ওপরে দাম নিচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারের বিষয়ে আমাদের একটু গ্যাপ আছে। যেদিন দাম আট টাকা বাড়ানো হলো তার পরের দিন সরবরাহ অনেক কমে গেছে। ব্যবসায়ীদের একটা প্রত্যাশা আছে ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে আরও হয়তো বাড়বে। আজকে আমরা সয়াবিন তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আমরা চাচ্ছি আমাদের দিক থেকে সরবারহটা থাকুক।
এদিকে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দেশীয় উৎস থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১৮৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল এবং ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা দিয়ে মসুর ডাল কেনা হবে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্পট মার্কেট থেকে সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ২৮০ টাকা। এ ছাড়া কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (ডিজাইন ফেজ) নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি ৮১ লাখ ৪২ হাজার ৪০৪ টাকা।