আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলমান ৪.৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির সঙ্গে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য সম্মতি জানিয়েছে। তবে এ ঋণের জন্য নতুন কিছু শর্ত আরোপ করেছে সংস্থাটি। ঋণ ছাড়ের সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছে আইএমএফ।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ মিশনের ধারাবাহিক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শেষ বৈঠকে চুক্তি হতে পারে বলে জানা গেছে।
আইএমএফ নতুন ঋণের জন্য রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানো, এবং ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার মতো শর্ত দিয়েছে। একই সঙ্গে কর অব্যাহতি কমানো এবং ভ্যাট কাঠামো সংস্কারের বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে।
সরকার ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রস্তাব দিলেও আইএমএফ আপাতত ১ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে। এ ঋণের কিস্তি চলমান ঋণের শেষ ধাপের সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
২০২৬ সাল পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের শর্তে এ ঋণ ছাড় করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয় ইতিবাচক অবস্থান নিলেও শর্ত পূরণে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে দেশ।
রাজু