শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগামী ২৬ সালের মাঝামাঝির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণায় ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এরই অংশ হিসেবে পতন কাটিয়ে মঙ্গলবারের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান ঘটেছে। ফলে পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা নতুন করে আশার বীজ বুনতে শুরু করেছেন। প্রধান শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধির সঙ্গে লেনদেনের গতি বেশি ছিল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিললো।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই সূচকের পতন হয়। সেইসঙ্গে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। এতে এক সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন ১১ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে যায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইঙ্গিত দেওয়ায় শেয়ারবাজার পতন থেকে বেরিয়ে আভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এখন বছরের শেষ সময়। এখন শেয়ার বিক্রির চাপ কম। আবার আগামী বছরের শেষের দিকে সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন। নতুন করে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক অস্থিরতা শুরু না হলে শেয়ারবাজার পতন থেকে বেরি আসতে পারে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে।
ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ২১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এর বিপরীতে দাম কমেছে ১১০টির এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২২৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
হুমায়ুন কবির