.
তৈরি পোশাক খাতের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা ধরে রাখতে কারখানাগুলোতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস অপরিহার্য। আর এর জন্য সরকারি নীতি সহায়তা এবং ব্র্যান্ড, ক্রেতা ও উৎপাদনকারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেবট আয়োজিত দ্বিতীয় বাংলাদেশ এনার্জি প্রসপারিটি ২০৫০ সম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তারা এ কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে রূপান্তর এবং বৈশ্বিক ও দেশীয় সংকটের মধ্যেও টেকসই বিদ্যুৎ নীতি অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পোশাক ও পরিবহন খাতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস নিয়ে একটি সেশনে এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভের প্রোগ্রাম এভিডেন্স অ্যান্ড লার্নিংয়ের সিনিয়র ম্যানেজার মুনির উদ্দিন শামীম পোশাক খাতে জ্বালানি রূপান্তর বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তৈরি পোশাক খাতে নিঃসরণ কমাতেই হবে আমাদের ব্যবসা ধরে রাখতে। আর কোনো বিকল্প নেই। ইউরোপে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন আইন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিউ ডিলিজেন্সের (এইচআরইডিডি) প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০২৭ সালের পর আইনটি যখন বাস্তবায়ন শুরু হবে, তখন সব ব্র্যান্ডের জন্যই এ আইন মানা বাধ্যতামূলক হবে। আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় বিধিমালা ও নীতিমালার উপস্থাপনায় জানানো হয়, বর্তমানে অনেক ক্রেতাকেই নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সার্টিফিকেট (আরইসি) দেখাতে হয়। এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভ (ইটিআই) হলো ট্রেড ইউনিয়ন, এনজিও ও কোম্পানিগুলোর একটি জোট, যা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করে। মুনির উদ্দিন শামীম জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ২০০টির বেশি পোশাক কারখানা লিড সনদপ্রাপ্ত শিল্পের মোট ইউনিটের ৪ শতাংশ। এই সনদপ্রাপ্ত কারখানাগুলো সবুজ কারখানা হিসেবে বিবেচিত।
তিনি বলেন, ক্রেতারা এখন পণ্যের গুণগত মানের পাশাপাশি এর উৎপাদন প্রক্রিয়াজুড়ে যে শ্রমিক জড়িত, তাদের অধিকার রক্ষা হচ্ছে কি না সেটিও দেখছে। তাই ইউরোপীয় বাজার ধরতে উৎপাদনকারীকে কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। আমাদের লিড সার্টিফায়েড পোশাক কারখানা আরও বাড়াতে হবে।
জোবায়ের