ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১

বেক্সিমকো গ্রুপের ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ: হাইকোর্টে শুনানি

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বেক্সিমকো গ্রুপের ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ: হাইকোর্টে শুনানি

দেশের ১৬টি ব্যাংক এবং সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। এ তথ্য ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী আদালতে উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মুনীরুজ্জামান আদালতে জানান, বেক্সিমকো গ্রুপের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট দায় ৫০ হাজার ৯৮ দশমিক ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ৩১ হাজার ৭৫ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রচলিত আইন এবং ব্যাংকিং নীতিমালা উপেক্ষা করে এই গ্রুপকে আর্থিক সুবিধা প্রদান করেছে। এ সুবিধার মধ্যে ঋণ প্রদান, পুনঃতফসিলিকরণ, মেয়াদ বাড়ানো, অতিরিক্ত ঋণ, এবং এলসি সুবিধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিশেষ করে জনতা ব্যাংক একক ঋণ গ্রাহক হিসেবে বেক্সিমকো গ্রুপকে তার প্রাপ্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। এছাড়া, এই গ্রুপকে দেওয়া মোট ঋণের প্রায় অর্ধেক একাই জনতা ব্যাংক বরাদ্দ করেছে।

একটি রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে পরবর্তী তারিখ ২২ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে।

হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের বর্তমান অবস্থা, পরিশোধের অগ্রগতি এবং অন্যান্য আর্থিক বিবরণী প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত করে সেগুলোর ব্যবস্থাপনায় একজন রিসিভার নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপের জন্য রিসিভার হিসেবে নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে নিয়োগ দিয়েছে।

শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। অন্যদিকে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল এবং আনিসুল হাসান অংশ নেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।

রাজু

×