ছবি: সংগৃহীত
বাজারে নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে দামও কমেছে পণ্য দুটির। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে নতুন আলুর দাম। আর পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ টাকা।
শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলীসহ কয়েকটি এলাকায় বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো ও নতুন আলু এখন একই দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে নতুন আলু। তবে পুরনো ডায়মন্ড আলুর দাম আগের মতোই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। এর বিপরীতে ৮৫ টাকায় মিলছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসায় এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।
সবজি ও পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে দ্বিগুণ বেড়েছে। কারণ, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় আগাম জাতের পণ্যও বাজারে আসছে। এই আগাম আলু-পেঁয়াজ শেষ হলেই মূল মৌসুমের পণ্য চলে আসবে। তাই এখন আর আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কতটা কমবে, তা কৃষকের উৎপাদন খরচের ওপর নির্ভর করবে। আলু ও পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমলেও সবজির দাম কমছে খুবই ধীরগতিতে।
এদিকে পুরান আলুর দাম না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েক ক্রেতা। আবু রায়হান নামে একজন ক্রেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আলুর দামটা কমে না কেন? নতুন আলুর দাম আস্তে আস্তে কমতেছে৷ পুরান আলুর দাম এখনো ৮০ টাকা। ২০০ টাকা থেকে নতুন আলু ৮০ টাকায় নামতে পারে৷ কিন্তু পুরান আলুর দাম কমে না। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেয়া উচিত৷’
আমদানি নির্ভর পণ্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন উৎস খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিকরা৷ সিরাজুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘ধানমন্ডিতে সবজির দাম বেশি। মোহাম্মদপুরে কম। কারণ ধানমণ্ডিতে ধনী লোকের বসবাস বেশি৷ কিন্তু ধানমণ্ডির সবাই কিন্তু আবার ধনী না। তাই আমরা মোহাম্মদপুর গিয়ে বাজার করি। সরকারেরও উচিত বিকল্প খোঁজা। যখন একটা দেশ থেকে আমদানিতে সমস্যা, খরচ বেশি, ঝামেলা হচ্ছে, বিকল্প খোঁজেন।’
শিহাব