ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

১৫তম বিজমায়েস্ট্রোজের চূড়ান্ত পর্ব ইউনিলিভার বাংলাদেশের উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

১৫তম বিজমায়েস্ট্রোজের চূড়ান্ত পর্ব ইউনিলিভার বাংলাদেশের উদযাপন

বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৫তম আসর সম্পন্ন

দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) তাদের ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস প্রতিযোগিতা ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৫তম আসর সম্পন্ন করেছে।     

শীর্ষ পাঁচ প্রতিযোগী দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের মোঃ তাহমিদুর রহমান খান, নুসরাত ফৌজিয়া নিশু ও মাইশা ইসলাম মোনামী’র দলটি মর্যাদাপূর্ণ এই ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে।        

গ্র্যান্ড ফিনালের বিচারক প্যানেলে ছিলেন  ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান; ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (ডিএসই) চেয়ারম্যান ও ক্লিংক অ্যাডভাইজরি’র প্রতিষ্ঠাতা মমিনুল ইসলাম। এছাড়াও ইউনিলিভার বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দদের মধ্যে সিএফও এন্ড ফাইন্যান্স ডিরেক্টর - জিনিয়া তানজিনা হক; মার্কেটিং ডিরেক্টর- হোম কেয়ার- শাদমান সাদেকীন; মার্কেটিং ডিরেক্টর- বিউটি অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং- জাহীন সাজিদুল ইসলাম বিচারক প্যানলে ছিলেন।    

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার, মানবসম্পদ পরিচালক দুরদানা কবির, জুরি সদস্য এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।  

প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি)-এর শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি। এই দলের সদস্যরা হলো মোঃ শামসুল আরেফিন চৌধুরী, হৃদিতা ইসলাম ও সওদা মুনতাহা।  
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) এর সামিহা রহমান,  আফরা নাওয়াল ও রাইয়ান ইবনে হোসেন দ্বিতীয় রানার-আপের মর্যাদা অর্জন করেন। 
   
‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ ২০২৪-এর থিম ছিল ‘পাওয়ার অব ইউ’, যা অংশগ্রহণকারীদের তাদের অনন্য উৎসাহ ও উদ্দীপনা প্রকাশে উৎসাহ প্রদান করেছে। প্রতিযোগিতাটি শিক্ষার্থীদের ইউনিলিভারের পোর্টফোলিও থেকে প্রকৃত ব্যবসায়িক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সুযোগ প্রদান করেছে, যা তাদের সমস্যা সমাধান ও কৌশলগত চিন্তাভাবনার দক্ষতা উন্নত করতে সহায়ক হয়েছে।   
     
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে তিনটি রাউন্ডে প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়, যেখানে হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে  ৪৫ জন নির্বাচিত শিক্ষার্থী ব্যাপক পরামর্শ, বুটক্যাম্প ও কঠিন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। এখান থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য শীর্ষ পাঁচটি দলকে নির্বাচিত করা হয়।      

প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলটি  ইউনিলিভার ফিউচার লিডার্স লিগ (এফএলএল) ২০২৫-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে, যেখানে তারা বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এছাড়াও, শীর্ষ ৫ দলের সকল সদস্যই ইউনিলিভার বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রামের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে তারা প্রতিষ্ঠানটির গতিশীল সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যময় কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।  
 
গ্র্যান্ড ফিনালের বিচারক মাসুদ খান বলেন, বিজমায়েস্ট্রোজ ফাইনাল ছিলো একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা, যেখানে দেশের বিজনেস গ্র্যাজুয়েটদের উদ্ভাবনী চিন্তা অসাধারণভাবে ফুটে উঠে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দলগুলো বাংলাদেশে ব্যয়বহুল বডি ওয়াশের নতুন বাজার নিয়ে গবেষণাভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করেছে। একই সাথে তারা ভোক্তাদের আচরণ ও সম্ভাবনাগুলো বিশ্লেষণ করেছে। ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে বিতরণ ব্যবস্থা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট খাতটি প্রসারের কৌশলগুলো আলোচনায় স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। তরুণ মেধাবী এবং অভিজ্ঞ বিচারকদের সাথে সম্পৃক্ততা ভাবনা ও সমাধান বিনিময়ের একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে  বিজমায়েস্ট্রোজ।
       
বিচারক প্যানেলের সদস্য মমিনুল ইসলাম বলেন, ইউনিলিভার বাংলাদেশ আয়োজিত বিজমায়েস্ট্রোজ গ্র্যান্ড ফিনালে ছিলো উদ্ভাবন ও প্রতিভার এক অসাধারণ উদযাপন। ইভেন্টটি অসাধারণ চিন্তা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা সম্পন্ন প্রাণবন্ত তরুণ মেধাবীদের একটি মর্যাদাপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। এটি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলা ও সৃজনশীলতার বিকাশে ইউনিলিভার-এর অবিচল অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। অংশগ্রহণকারীদের স্বতঃস্ফূর্ততা ও প্রাণশক্তি ছিলো সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের এইচআর ডিরেক্টর সৈয়দা দুরদানা কবির বলেন, বিজমায়েস্ট্রোজ ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার চেয়েও বেশি কিছু। এটি আগামীর নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রেও একটি প্ল্যাটফর্ম, যে নেতৃত্ব ভবিষ্যতের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষাক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রের মধ্যকার ব্যবধান দূর করা এবং প্রতিভাবান তরুণদের তাদের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের তরুণদের ভবিষ্যৎ ব্যবসাক্ষেত্রের যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা হিসেবে গড়ে তোলার যাত্রায় সহায়তা প্রদান করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।   

এম হাসান

×