সভা
বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ নিয়ে জারি করা নতুন নিয়মকে বেসরকারি খাতবিরোধী পদক্ষেপ বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, এতে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে, কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে। সব মিলিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়বে।
শনিবার বিজিএমইএ এই সভার আয়োজন করে। সংগঠনটির প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় পোশাকশিল্পসহ সব শিল্প কারখানার বিরাজমান পরিস্থিতি, শিল্পে নিরাপত্তাহীনতা, প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস না পাওয়া এবং ব্যাংক-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি ও শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) মতবিনিময় সভায় তাঁরা এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে কারখানার নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান তাঁরা।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এপ্রিল মাস থেকে খেলাপি ঋণের নতুন নীতি কার্যকর হলে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। নতুন নীতি শিল্প কারখানায় কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিরূপণে খাতভিত্তিক স্টাডি করার বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতারা একমত পোষণ করেন।
সভায় পোশাকশিল্পসহ সব শিল্প খাতের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে মাহমুদ জিনস কারখানার ডিএমডির ওপর হামলার উদ্ধৃতি দিয়ে নেতারা বলেন, এতে দেশের সামগ্রিক শিল্প খাতে গভীর উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে উদ্যোক্তারা কারখানা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত হবেন। একই সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে, যা কাম্য নয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, বিইএফের সভাপতি আরদাশির কবির, বিকেএমইএর সভাপতি মোহম্মদ হাতেম, বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান প্রমুখ।
শহীদ