ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ভারত থেকে আমদানি হবে ৫০ হাজার টন চাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারত থেকে আমদানি হবে ৫০ হাজার টন চাল

ছবি: সংগৃহীত।

প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে বিপুল পরিমাণ চাল, চিনি, ডাল সার কিনছে সরকার। এরমধ্যে দুদেশের রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল আমদানি করা হবে। এর পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে আরও এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি করবে সরকার।

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এই অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এছাড়া টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে দেশের দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার টন চিনি ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার টন চিনি ও ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। 

বুধবার  সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ৫ হাজার টন চিনি কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রস্তাব পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই চিনি কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৮ টাকা ৪৩ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে এই চিনি বিক্রি করা হবে। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে চট্টগ্রামের মেসার্স পায়েল ট্রেডার্স থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৯৬ টাকা ৬৯ পয়সা। এই মসুর ডাল টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিয়ানমার থেকে জিটুজি পর্যায়ে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির প্রস্তাব আনা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। মিয়ানমার রাইচ ফেডারেশন এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৫১৫ মার্কিন ডলার। এই চাল আনতে মোট ব্যয় হবে ৬১৮ কোটি টাকা। সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতের মেসার্স মন্ডল স্টোন প্রডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৬৭.৭০ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

এছাড়া ৩৩৯ কোটি টাকায় ৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার।দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া এবং ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট আমদানির করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৩৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এই অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

নুসরাত

×