২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আদায়ের এমন পরিস্থিতিতে বছর শেষে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে ফের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর-এই চার মাসে এনবিআরের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
তবে এই সময় পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে কম আদায় হয়েছে ৩০ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের কোনো মাসেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এনবিআর। জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২০ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।
জুলাইয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। পরের মাস আগস্টে ৩১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ রাজস্ব আদায় কমেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
আবার সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩৯ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২৯ হাজার ২ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩৫ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা, যেখানে আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ৭২ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় কমেছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি।
রাজস্ব আদায়ের খাত ভিত্তিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রথম চার মাসে আয়কর খাতেই ঘাটতি হয়েছে ১৩ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪৫ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। এ সময়ে আদায় হয়েছে ৩১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আমদানি-রপ্তানি খাতে চার মাসে ৩৯ হাজার ৬৩২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৯৬০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ভ্যাট আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১০ হাজার ৫০৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ওই সময়ে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৩৬ হাজার ৭২৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এ সময়ে এই খাতের লক্ষ্য ছিল ৪৭ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। এই খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
তানজিলা