শেরেবাংলা নগরে সোমবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে চামচা, পুঁজিবাদ, চোরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে। দেশের উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থ তছরুপ হয়েছে। এছাড়া লুটকৃত অর্থের প্রায় ৬০ শতাংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আর বাকি ৪০ শতাংশ বাংলাদেশে ছায়া বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশের নানা খাতে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে এই দেশে ১০ শতাংশ মানুষ মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশ ভোগ করছে। ফলে সম্পদ ভোগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। পর পর তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে।
তবে চোরতন্ত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছেন উর্দিওয়ালা ও উর্দি ছাড়া আমলারা। দ্বিতীয় অবস্থানে রাজনীতিবিদ ও তৃতীয় অবস্থানে ব্যবসায়ীরা। এতদিন আশঙ্কা থাকলেও ইতোমধ্যেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপসহ নানা কারণে মধ্য আয়ের ফাঁদে পড়েছে দেশ। অর্থনৈতিক দুর্নীতির শে^তপত্র কমিটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে। সমস্যা উত্তরণে সরকারের কাছে ৫টি সুপারিশ উত্থাপন করেছেন শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তবে নানা সমস্যা থাকলেও এলডিসি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার না করার সুপারিশ করেছে কমিটি। কমিটি বলছে, বাংলাদেশের জিডিপি, আকার এবং অন্যান্য সূচক এলডিসির বাইরে থাকার পক্ষে যুক্তিসংগত নয়।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন শ্বেতপত্র কমিটি সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরেন। এতে মূল বক্তব্য রাখেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সঙ্গে অন্য সদস্যরাও তাদের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তারা।
গত রবিবার বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত অর্থনৈতিক দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তিনমাসের অনুসন্ধান শেষে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করে।
চোরতন্ত্রে পরিণত করতে কারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে এমন প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। প্রথমদিকে মনে হয়েছিল, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের ভূমিকা বেশি। শেষের দিকের আলোচনায় উঠে এসেছে, চোরতন্ত্রে পরিণত করার প্রক্রিয়ায় উর্দি পরা কিংবা উর্দি ছাড়া আমলারা বেশি কাজ করেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত চারটি খাতের কথা বলেছেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। প্রথম স্থারে আছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় স্থানে অবকাঠামো। তৃতীয় স্থানে জ্বালানি এবং চতুর্থ স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা জরুরি বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার বিপদসংকুল হয়ে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য পাঁচটি পরামর্শ দেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান। প্রথমত, গত পাঁচ মাসে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, আগামী ছয় মাস যেহেতু দেশ ও জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই এ সময়ে কী অর্থনৈতিক সংস্কার করা হবে, তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। যেমন মূল্যস্ফীতি, সুদের হার, টাকার মান কত হবে, তা জনগণকে জানানো। অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনা উচিত। তৃতীয়ত, আগামীদিনের সীমারেখা কী, তা না বুঝে কেউ বিনিয়োগ করবে না। নিকট ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাগ্রস্ত হবেন।
দুই বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেন তিনি। চতুর্থত, তিনি মনে করেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়া স্থবির হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনটি মাপকাঠিতে বাংলাদেশ উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই ২০২৬ সালের আগে বড় ধরনের অর্থনৈতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। এখনো সেই সময় হয়নি। পঞ্চমত, উন্নয়ন সহযোগী; বাজার সুবিধা দেওয়ার দেশ; বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং শ্রমশক্তি নেয় এমন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী বছরের প্রথমদিকে একটি উন্নয়ন ফোরাম বৈঠক করা, যেখানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, আওয়ামী সরকারের সময়ে গড়ে প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে প্রতিটি খাতে লুটপাট ও দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। শ্বেতপত্র কমিটি জানায়, উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল, কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যাংক খাতে যে মন্দ ঋণ তৈরি হয়েছে, তা দিয়ে ১৪টি মেট্রোরেল নির্মাণ করা যেত। এছাড়া ব্যাংক খাতে যে পরিমাণ মন্দ ঋণ তৈরি হয়েছে, তার প্রকৃত পরিমাণ দিয়ে ২৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব ছিল। বিগত সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট ছিল।
আর এই প্রভাব ব্যাংকিং খাতের সংকটকে আরও গভীর করেছে। কমিটি আরও জানায়, প্রবাসে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো গত ১০ বছরে ভিসার জন্য হুন্ডির মাধ্যমে ১৩.৪ লাখ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। এই টাকা ঢাকা এমআরটি লাইন-৬ (উত্তরা থেকে মতিঝিল) নির্মাণ ব্যয়ের চারগুণ। সিন্ডিকেট এবং এই শোষণমূলক নিয়োগের কারণে অভিবাসী শ্রমিকরা ন্যায্য কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং দেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ কমেছে
কমিটির সদস্য ড. এ কে এনামুল হক বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ ব্যয় তছরুপ বা লুটপাট করা হয়েছে। ড. আবু ইউসুফ বলেন, রাজস্ব বোর্ড যে পরিমাণ টিআইএন সার্টিফিকেট থাকার দাবি করে, সেই পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয় না। এমনকি কেউ মারা গেলে সেই সার্টিফিকেট বা নম্বর কি হবে, সেটির কোনো কার্যকর প্রক্রিয়া নেই। রাজস্ব বোর্ড সেটা কমিটিকে দিতে পারেনি। কিভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা খাতকে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে তার কোনো সঠিক কাঠামো নেই। তবে ১ কোটি করদাতা নির্ধারণ করা গেলে রাজস্ব অনেক বাড়ানো সম্ভব।
কমিটির সদস্য ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, অভিবাসনের জন্য মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। অভিবাসনের মাধ্যমেও অর্থপাচার হয়েছে। ড. সেলিম রায়হান বলেন, যেসব খাতে সংস্কার দরকার সেখানে শক্তিশালী উদ্যোগ নিতে হবে। ড. ইমরান মতিন বলেন, ১০ শতাংশ মানুষের কাছে ৮৫ ভাগ সম্পদ। টোকা দিলে যে দারিদ্র্য বিমোচন শেষ হয়ে যাবে, সেটিকে কার্যকর উদ্যোগ বলে না। কোনো মানুষ ২ দিন কাজ না করলেই দারিদ্র্যের নিচে চলে আসবে। এতে দারিদ্র্য হার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব টাকা লোপাট হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের ঘাড়ে সেই বোঝা থেকে গেলো। মেগা প্রকল্পের টাকা পাচার হয়েছে। ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হবে। জবাবদিহিমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
তামিম বলেন, জ্বালানি খাতে ৩০ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলার খরচের তথ্য দেখেছি। সেখানে তিন বিলিয়ন ডলার হাত বদল হয়েছে। হাতে বদলের প্রমাণ নেই, তবে প্রতিপ্রকল্পে হাত বদল হয়েছে। ঠিকাদারি কাজে প্রতিযোগিতা হয়নি। যে কাজ পায় তার কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের অতিউচ্চ টার্গেট সেট করে লুটপাট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকারি তথ্য-উপাত্তে বড় ধরনের গলদ আছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, ৩০ অধ্যায়ের ৪০০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ শ্বেতপত্রে উঠে এসেছেÑ কীভাবে ক্রোনি পুঁজিবাদ অলিগার্কদের জন্ম দিয়েছে। কীভাবে তারা নীতি প্রণয়নকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশের ৮৫ শতাংশ সম্পদ ১০ শতাংশ মানুষ ভোগ করছেন বলেও জানান দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, চামচা, পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল পুরো কাঠামো।
এর উৎস ২০১৮-এর নির্বাচন। পরবর্তী সময়ে যে ভোট হয়েছে সেখানে স্বচ্ছতার জায়গা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারের জবাবদিহিতা নষ্ট করা হয়েছে। জাতিসংঘ এখনো মনে করছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট। উন্নয়নশীল দেশ হবার পথে কোনো বাধা নেই। তবে ইতোমধ্যেই মধ্য আয়ের ফাঁদে পড়েছে দেশ।
সুপারিশ প্রদান করতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কার্যক্রম করা যাবে না। পরবর্তী জাতীয় বাজেট আসার আগে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বর্তমান সরকার কি কি উদ্যোগ নেবে সেগুলোকে স্পষ্ট করতে হবে। আরও দায়বদ্ধতা আনতে হবে। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই সরকার পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকবে না। তবে অন্তত আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা সামনে থাকতে হবে। তিনি বলেন, সরকারকে মধ্য মেয়াদে এমন পরিকল্পনা দিতে হবে যাতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষার মান এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুস্পষ্ট পরিকল্পনা থাকে। এছাড়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে।
কেননা সেখানে যে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ধরা ছিল এগুলোর দায় কে নেবে তা স্পষ্ট করতে হবে। এছাড়া এলডিসি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা এর থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। যদিও রপ্তানিকারকরা যা বাজার সুবিধা পান তারা নানাভাবে এটি পেছানোর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু সেটি হতে দেওয়া যাবে না। কেননা গোড়া খুঁজে দেখতে হবে ওই ব্যবসায়ীদের মূল কোথায়। এছাড়া রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ বলবে আমরা সোনার সংসার রেখে এসেছি; দুই বছরে তারা সব শেষ করে দিয়েছে।
এছাড়া সরকারের তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি আছে। এসডিজির সঠিক মূল্যায়নের জন্য সঠিক তথ্য-উপাত্ত নিশ্চিত করতে হবে। সর্বশেষ সুপারিশ হলো উন্নয়নসহযোগী সংস্থা বা দেশ, যেসব দেশে আমরা জনশক্তি রপ্তানি করি এবং যেসব দেশে আমরা রপ্তানি করি, সব পক্ষকে নিয়ে দ্রুত একটি বিডিএফ বৈঠক করা দরকার।
কমিটি বলছে, শ্বেতপত্র প্রতিবেদনটির মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নানাপক্ষের প্রদত্ত মতামত সুষ্ঠুভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক এই প্রায় ৪শ’ পাতার প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মোট ৬০টি সভার আয়োজন করেছে। আর নিজেদের মধ্যে ১৮ বার মিলিত হয়েছে। কমিটি মোট ৩৪০ জনের মতামত নিয়েছেন। মতামত গ্রহণকালে কমিটি বিভিন্ন জনের কাছে জানতে চেয়েছেÑ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি কারা করেছে। কমিটির
প্রশ্নের জবাবে একেকজন একেকজনের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে বেশিরভাগই আমলাদের দুর্নীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেন, আমরা জানি এই সরকার অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের মেয়াদ খুব বেশি সময়ের নয়। কিন্তু সরকারকে আগামী ছয় মাসে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি এক বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনাও তুলে ধরা দরকার। কারণ এখন সংসদ নেই। সংসদ থাকলে জনপ্রতিনিধিরা সেটি জাতির সামনে তুলে ধরতেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে সংস্কারসহ অন্যান্য সুপারিশ বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যাবে। কারণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে।