শেয়ারবাজারে আবার দরপতন
এক কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনের পাল্লা ভারি হলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে মূল্যসূচকও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৫৭ পয়েন্ট।
আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫১ পয়েন্ট ও দ্বিতীয় কার্যদিবসে কমে ১০ পয়েন্ট। আর তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট বাড়লেও দরপতন হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। তবে চতুর্থ কার্যদিবসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে সবকটি মূল্যসূচক।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। কিন্তু শেষ আধাঘণ্টার লেনদেনে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ায় প্রধান মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।