ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সোমবার বিগত সরকারের লুটপাটের ফিরিস্তি প্রকাশ করা হবে ॥ ড. দেবপ্রিয় 

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

সোমবার বিগত সরকারের লুটপাটের ফিরিস্তি প্রকাশ করা হবে ॥ ড. দেবপ্রিয় 

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

আগামী সোমবার বিগত সরকারের আমলের লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তার আগে রবিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর ‘শ্বেতপত্র’ তৈরির জন্য গঠিত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন।
বৃহস্পতিবার ইকোনমিক রিপোর্টার্র্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ওপেন বাজেট সার্ভে ২০২৩-এর ফলাফল’ বিষয়ক সেমিনারে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও জানান, প্রতিবেদনটির ফল ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হবে।
সেমিনারে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ এখনো কেন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা দুর্নীতির পাহাড় থেকে জনগণের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে না পারি, তবে আমরা কেমন বিপ্লব করেছি?’ তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারলে কর সংগ্রহে ইতিবাচক পদক্ষেপ আসবে।
দাতা সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের সন্দেহের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক বড় প্রকল্পে দাতা সংস্থা ও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অর্থায়ন করেছেন। তারা উদ্বিগ্ন, এই প্রকল্পগুলো চলবে কি না। তারা জানতে চান, আগামী দিনে বাংলাদেশ কীভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।’
জানুয়ারিতে দাতা সংস্থা ও সরকারের মধ্যে একটি বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে দেবপ্রিয় আগামী দুই মাসের মধ্যে  ‘ফোরাম ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, এই ফোরাম তৈরি করে দাতা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাঁচটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যার প্রথমটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।

অন্য বিষয়গুলো হলো- ব্যক্তিগত বিনিয়োগের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা, জ্বালানি সংকট সমাধান, সরকারি অর্থায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর করে দ্রুত প্রকল্প সম্পন্ন করা এবং সঠিকভাবে কর সংগ্রহ নিশ্চিত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সরকারের লক্ষ্য পূরণ হবে না। সরকার এখন পর্যন্ত জনগণকে আশ্বস্ত করতে কী করেছে এবং আগামী ছয় মাসে কী করবে, সেই বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা উচিত বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এমএ রাজ্জাক। এ ছাড়া ওপেন বাজেট সার্ভের ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন ড. এম আবু ইউসূফ। ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আনারুল কবির ও সাংবাদিক শওকত হোসেন মাসুম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

×